এইচএসসির পরীক্ষার সব বিষয় বিবেচনা করেই যেন ফল ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
এসময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, যারা পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেছেন তারা কয়েক হাজার। কিন্তু এর বাইরে সারাদেশে আরও ১২-১৩ লাখ পরীক্ষার্থী রয়েছে।
তবে, দেশের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়, সব কেন্দ্র পরীক্ষা নেয়ার উপযোগী নয় এবং প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার চ্যালেঞ্জকেও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ঢুকে পড়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, তারা সচিবালয়ে ঢুকে যা করেছে তা দুঃখজনক। এই পরিস্থিতি আরও কিছুদিন সামলাতে হবে।
তিনি বলেন, ভেতর থেকে কেউ পরীক্ষার্থীদের এসব ঘটনায় উসকানি দিচ্ছে কি না সেটাও ভাববার বিষয়। তবে পরীক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে যা করলো তা অনভিপ্রেত।
চলতি বছরের স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত রিভিউ হবে কি না সে সিদ্ধান্ত আন্তঃশিক্ষা বোর্ড নেবে। পরীক্ষা বাতিল হলে তাদের মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা-ও বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, যারা পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদেরকে অনুরোধ করবো পরীক্ষার সব বিষয় বিবেচনা করেই যেন ফল ঘোষণা করা হয়। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে পরীক্ষার্থীদের একটি মূল্যায়ন করে এবং সেটা যাতে শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়।
উপদেষ্টা বলেন, যতদিন সময় পাই একটি আধুনিক শিক্ষাক্রম দিয়ে যাবো। আগের সরকার বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক কারণে নিয়োগ দিয়েছে, এজন্য একটি পুঞ্জিভূত ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এজন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা হচ্ছে। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের সরিয়ে দেয়াও খুবই খারাপ হচ্ছে।
ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা এখন সবচেয়ে দুর্বল জায়গা। সেখানে অনিয়ম বেশি হয়েছে। সরকারি ৪৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কোনো অভিভাবক নেই। আগের রাজনৈতিকভাবে ভিসি নিয়োগ হতো। এখন তা হবে না। যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব ঢাকাসহ বড় বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ দেয়া হবে।