ফেনীতে চলমান প্রবল বন্যার মধ্যে কয়েকটি স্থানে ভেসে আসা লাশ দেখতে পেয়েছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে দুটি লাশ কলার ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত চিরকুটে লেখা ছিল, বন্যার কারণে মাটি না পেয়ে কলার ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং যারা লাশগুলো পাবেন তাদের দাফনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে ফেনীর জেলা প্রশাসক মুসাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের কাছে বন্যায় একজনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে।
ফেনীতে ২০ আগস্ট দুপুর থেকে শুরু হওয়া বন্যা পরের দিন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় বন্যা শুরু হলেও তা পরবর্তীতে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বন্যায় প্রায় ১০ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার রাতে ফেনী শহরের মিজান রোডে সোনালী ব্যাংকের সামনে হাঁটু পানিতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা লাশটি জানাজা ও দাফনের জন্য নিয়ে যায়, তবে দাফনের স্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, ফেনী সদর উপজেলার লালপোল এলাকার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামে বন্যায় ভেসে আসে এক শিশুর লাশ। জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আব্দুর রহিম জানান, সদরের মৌটবী ইউনিয়নের নুরুল আলম নামে এক ব্যক্তি শনিবার মারা যান এবং তার মরদেহ কলার ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
ওমান প্রবাসী মাসুদ খান প্রিন্স ফেসবুকে লেখেন, তার বাবা আলীম উল্লাহ মারা যাওয়ার পর বন্যার পানিতে কলার ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন যে, উদ্ধারের জন্য কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি।
ফেনী সদর উপজেলায় বন্যায় ভেসে আসা এক নারীর লাশের বিষয়ে সাংবাদিক ফারাবি হাফিজ তার ফেসবুকে জানিয়েছেন, প্লাস্টিকে লেখা ছিল ‘মুসলিম মহিলা’ এবং লাশটি জানাজা ও দাফনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.