বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ পলাশ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাণবাহী ট্রাকে নোয়াখালী যাওয়ার পথে গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকায় ট্রাকটি দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। দুর্ঘটনায় ১২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দিনাজপুর খানসামা উপজেলার বাসিন্দা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ পলাশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৭ আগস্ট রাতে ভর্তি করা হয়।
নিহত ফাহিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্ঘটনার দুই দিন আগে থেকেই বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গত ২৬ আগস্ট রাত ৩টার দিকে ট্রাকে করে নোয়াখালী সেনবাগের উদ্দেশ্যে ত্রাণ নিয়ে রওনা দেয় শিক্ষার্থীরা। পথে মীরসরাই অতিক্রম করার পর জোরারগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে চালকের অসাবধানতার কারণে সামনে থাকা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সামনের আসনে থাকা দুজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভাবকি ইসলামিয়া মাদরাসা মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজার নামাজে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজ উদ্দিন। এ সময় তিনি ফাহিম আহমেদ পলাশের পরিবারকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।