আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশে প্রকৃত সংস্কার ও নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জয় বলেন, সেনাপ্রধান কর্তৃক দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচনের যে সময়সীমা পেয়েছি তাতে আমি খুশি। যদিও আওয়ামী লীগ আরও আগে নির্বাচন প্রত্যাশা করেছিল। তবে এ রকম নাটক আমরা আগেও দেখেছি, যেখানে একটি অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তারপরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য সংস্কার বা নির্বাচন করা অসম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নির্ভর করছে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করবে নাকি তাদের মতো করে নির্বাচনের আয়োজন করবে।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরার বিষয়ে জয় বলেন, এটা তার (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত। এ মুহূর্তে আমি আমার দলের নেতাকর্মীদের নিরাপদে রাখতে চাই।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। পরবর্তীতে তারা রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচি হাতে নেয়। তবে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি।
সরকারের উপদেষ্টারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের ক্ষত সারিয়ে দেশকে সঠিক পথে নিতে আগে সংস্কার জরুরি, তারপর নির্বাচন। এরমধ্যেই গত ২৪ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার যাতে সংস্কার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে, সেজন্য ইউনূস সরকারকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেনাপ্রধান।
ওয়াকার-উজ-জামান আরও জানান, সংস্কারের মধ্য দিয়ে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।