যেকোনো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রেই চলচ্চিত্রে নিজের চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার জন্যে নিজের দক্ষতা একেবারে উজাড় করে দিতে পারেন তাঁরা। তখনই নিজের চরিত্রের মধ্যে প্রাণ ফেরানোর জন্যে এমন কিছু করে বসেন, যে তার জন্যে নিজের হুঁশই খুইয়ে বসেন। বলিউডে এমন প্রমাণ প্রচুর রয়েছে। এখনকার মতো ৭০-৮০ দশকে বলিউড ছবিগুলিতে রোমান্টিক দৃশ্যেগুলির মধ্যে তেমন চুম্বনের দৃশ্য বা লিপ লকের দৃশ্য ছিল না। খুব কমই এই ধরনের রোমান্টিক দৃশ্য জায়গা পেতো ছবিগুলিতে।
১৯৮৮ সালে মুক্তপ্রাপ্ত একটি ছবির নাম ছিল ‘দয়াবান’ (Dayaban)। যেখানে অভিনেতা বিনোদ খান্নার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit Nene)। স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। আর এই ছবিতেই বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য আজও চর্চিত। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মাধুরীর এই ছবির বিষয়ে একটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। যা শুনে চমকে গিয়েছেন সবাই। মাধুরী জানিয়েছেন, ‘দয়াবান’-এ তাঁর ও বিনোদের একটি গভীর চুম্বনের দৃশ্য ছিল।
সেখানেই মাধুরীর সঙ্গে বিনোদ চুম্বনের একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি তিনি। এমনকি শ্যুটিংয়ের সময়ে পরিচালক কাট বলার পরেও মাধুরীকে চুম্বন করে যাচ্ছিলেন বিনোদ। শেষে মাধুরীর ঠোঁট কামড়ে তিনি রক্ত বের করে দেন। এই ঘটনার পর রীতিমত ট্রমায় চলে গিয়েছিলেন মাধুরী। এরপর থেকেই বিনোদের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
বলিউডে এরকম অনেক ছবিই আছে যেখানে অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা শ্যুটিং করার সময়ে অভিনয়ে প্রাণ ফেরাতে বাস্তবতা হারিয়ে ফেলেন। এর পরে মাধুরী জানিয়েছিলেন, যেহেতু তিনি তখন নিউকামার ছিলেন। ফলে বুঝতে পারেননি, ওই চুম্বন দৃশ্যের জন্য রাজি না হলেও কোনও ক্ষতি ছিল না। এদিকে অভিনেতা বিনোদ খান্নাও (Vinod Khanna) বলিউডের অন্যতম বিতর্কিত অভিনেতা ছিলেন। একসময় তিনি হঠাৎই বলিউড ছেড়ে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন।পরে অবশ্য ফিরে আসেন।