ভোগ-বিলাস আর যৌনতা ছাড়া যেন কিছুই বোঝেন না আরব শেখরা। এর পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালতেও কার্পণ্য করেন না তারা। নিজেদের যৌন চাহিদা মেটাতে তাদের প্রথম চাহিদা কুমারী ও কিশোরীরা। বিশেষ করে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী কুমারী মেয়ে তাদের সবচেয়ে পছন্দ।
দরিদ্র মুসলিম পরিবারের অভিভাবকরা বিপুল অর্থের লোভে নিজের মেয়েকে কথিত বিয়ে দেন শেখদের যৌন চাহিদা মেটাতে। কিছুদিন পর যৌন চাহিদা মিটে গেল বিক্রি করে দেন কথিত সেই স্ত্রীকে। ভাগ্য খারাপ হলে মাসে মাসে হাত বদল হতে হয় কোনো কোনো কিশোরীকে।
আরব শেখদের বউবাজারে পরিণত হয়েছে ভারতের হায়দরাবাদ শহর। তারা কুমারী মেয়েদের খোঁজে ছুটে আসেন এই শহরে। শেখরা মূলত দেখতে সুন্দর ও আকর্ষণীয় শারীরিক গড়নের কারণেই হায়দরাবাদের মেয়েদের পছন্দ করেন। মূলত আরব শেখরা হায়দরাবাদের মেয়েদের বিয়ে করতে আসেন।
আর পরিবারের অভাব-অনটনের কারণেই আরব শেখদের হাতে মেয়েকে তুলে দিচ্ছেন মা-বাবারাও। কিন্তু সেই বিয়ে মাসের বেশি টেকে না। কারণ যৌন চাহিদা মিটে গেলেই অনীহা চলে আসে কথিত স্ত্রীর প্রতি। খোঁজ করেন আকর্ষণীয় ফিগারের আরেকজন কুমারীকে।
বিপুল অর্থ ঢেলে পেয়েও যান কাঙ্ক্ষিত শয্যাসঙ্গী। এই তালিকায় তরুণ শেখদের চেয়ে বয়স্করাই বেশি। ৬০ কিংবা ৭০ বছর বয়সী শেখরাও বিয়ে করতে চান ১২-১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে। দরিদ্র পরিবারের বাবা-মায়েরাও অর্থের লোভে মেয়েকে তুলে দেন তাদের হাতে।
বিনিময়ে তারা কিশোরীর পরিবারকে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ রুপি পর্যন্ত দেন। এ ছাড়া সুন্দর পোশাক, সোনা ও কখনো বাড়ি পর্যন্ত দিয়ে দেন। ভাগ্য ভালো হলে কয়েক মাস পর্যন্ত সংসার টেকে খুব কষ্টে। না হলে মাস ঘোরার আগেই বিক্রি হতে হয় আরেক শেখের কাছে।
রেহানা নামের এক কিশোরীকে বিয়ে করে কাতারে উড়াল দেন ৭০ বছর বয়সী এক শেখ। কাতারে গিয়ে কয়েক মাসের মাথায় অন্য এক শেখের কাছে রেহানাকে বিক্রি করে দেন তার স্বামী। এর পর চার বছরে আরও ১৪ শেখের কাছে তাকে বিক্রি করা হয়।
পুলিশ জানায়, হায়দরাবাদে কিশোরী মেয়ের খোঁজে বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, জর্ডান, কুয়েত, ওমান, সুদান ও সোমালিয়ার শেখরাই আসেন। মূলত পর্যটন ভিসা ও কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা ভিসা নিয়ে হায়দরাবাদে যাওয়ার পর শুরু হয় কিশোরীদের সন্ধান।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.