সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। একটি সামরিক হেলিকপ্টার দিয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
এদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ভারতে অবস্থান নিয়ে গত দুই মাসে দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। গুঞ্জন উঠে, ভারতে নাকি স্থায়ী হবেন না তিনি। এ অবস্থায় নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়েছে― ভারত ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশটির আজমান শহরে তিনি অবস্থান করছেন বলেও চাউর হতে থাকে।
শেখ হাসিনার ভারত ছাড়ার এ গুঞ্জন নিয়ে যখন নানা চর্চা, ঠিক তখন বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
গতকাল সোমবার রাতে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে আলাপকালে সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত ছেড়ে যাওয়ার খবর সঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘আমার মা ভারত ছেড়ে গিয়েছে বলে যে খবর চাউর হয়েছে সেটি সঠিক নয়। তিনি এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন।’
এর আগে গত ৪ অক্টোবর সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত ছাড়তে কোনো চাপ নেই।’
আর গত ৩ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী টাইমস ম্যাগাজিনের সঙ্গে কথা বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ওই সময় জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, তার নির্বাচনে লড়াইয়ের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলনের প্রসঙ্গে পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আমরা কোটা মুভমেন্ট দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এমনকি আমি বলেছিলাম, ৩০ শতাংশ কোটা অনেক বেশি। এটি আমাদের কমিয়ে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত। তখন কেউ একজন বলেন যে আমরাও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি। তখন আমি মজা করে উত্তর দিয়েছিলাম, সেজন্যই আমি ৫ শতাংশ ছেড়ে দিয়েছি।’
সজীব ওয়াজেদ জয় আরও জানান, তার মা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বেশ বিচলিত এবং হতাশ। কেননা গত ১৫ বছরে তার সমস্ত কঠোর পরিশ্রম অনেকটাই ব্যর্থ হতে চলেছে এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে।
এছাড়া নির্বাচনে নিজের অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কখনই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কে জানে? আমি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’