ছাত্রলীগ ধরিয়ে দিলেই লাখ টাকা পুরস্কার

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিলে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু মোহাম্মদ রায়হান। তার দেওয়া এ পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল হয়। সেই সঙ্গে এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আবু মোহাম্মদ রায়হান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এ পোস্ট করেন। পোস্টটি নিজে দিয়েছেন বলে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সমন্বয়ক আবু মোহাম্মদ রায়হান।

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের পুলিশে সোপর্দ করলে ১ লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে। পাশাপাশি একই পোস্টের কমেন্টে তিনি লিখেন, এ ঘোষণা শুধু কুমিল্লা অঞ্চলের জন্য। আটক ব্যক্তি অবশ্যই অস্ত্রধারী, অস্ত্র বহনকারী, অস্ত্র সরবরাহকারী এবং সংরক্ষণকারী হতে হবে। নামমাত্র পদধারী কোনো ব্যক্তিকে আটকের জন্য এই পুরস্কার প্রযোজ্য হবে না।

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত হামলা করে। ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। ওই সময় প্রচুর অবৈধ অস্ত্র নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের কাছে ছিল। এসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে ১ লাখ টাকা পুরস্কৃত করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে, ছাত্রলীগের সদস্য হলে ছয় মাসের জেল (ধারা ৮)। ছাত্রলীগের ব্যাপারে সহমর্মিতা বা সমর্থন চাইলে সাত বছরের জেল (ধারা ৯)। ছাত্রলীগের কাউকে আশ্রয় দিলেও তা সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে (ধারা ১৭), সাজা তিন-পাঁচ বছর (ধারা ১৪) সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।