মধ্যরাতে হঠাৎ কেন উত্তপ্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

নারী শিক্ষার্থীকে শ্লী’ল’তাহানির প্রতিবাদে মধ্যরাতে উত্তপ্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুড়িগ্রাম সড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় হামলাকারী দুই বহিরাগতকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেন তারা।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মূল ফটকের সামনে বহিরাগত দুজন যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উ’ত্ত্য’ক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা কামাল ও বিধান রায়।

এ সময় বহিরাগত ওই দুই যুবক আরো ১০-১৫ জনকে ডেকে নিয়ে এসে শিক্ষার্থী মামুন, মোস্তফা কামালকে মারধর করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও তিনজন শিক্ষার্থী আহত হন।

এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা-কুড়িগ্রাম সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১২টার দিকে শ্লী’লতা’হানিতে জড়িত দুই যুবককে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় উপাচার্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার নিশ্চয়তা দিলে অবরোধ তুলে নেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, কিছুদিন পর পর স্থানীয়রা ক্যাম্পাসে এসে নানা রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়। শুধু তাই নয়, চুরি-ছিনতাইয়ের মত ঘটনাও ঘটায়। এর আগে তারা আওয়ামী লীগের ভয় দেখিয়ে পার পেয়ে যেত। তবে এবার আমরা আর ছাড় দেবো না।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী বলেন, আটক বহিরাগত দুইজন প্রক্টরের হেফাজতে আছে। তাদের জিজ্ঞেসাবাদ চলছে। পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। দায়ীদের অবশ্যই আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে।