জাতীয় গ্রিডে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর অন্ধকারে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগ। হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন কাজে জেনারেটরের ওপর নির্ভর করছে মানুষ। এতে বেড়েছে ডিজেলের চাহিদা। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে থেকেই রাজধানীর তেলের পাম্পগুলোতে খোলা তেল নিতে গ্যালন-ব্যারেল নিয়ে হুমড়ি খায় মানুষ। হঠাৎ করে এমন চাপ পড়ার কারণে অনেক পাম্পেই ডিজেল শেষ হয়ে গেছে বলেও জানা যায়।
পেট্রলপাম্প অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও রমনা পেট্রলপাম্পের মালিক মাজেদুল হক বলেন, সারাদেশে পাম্পের ওপর অনেক চাপ পড়েছে। আমার নিজের পাম্পেই সন্ধ্যার মধ্যে ডিজেল শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বোঝেন না, এক হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালেই (শেরাটনে) আমার পাম্প খালি হয়ে গেছে। দুই হাজার লিটার ডিজেল শুধু তারাই নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ ডিজেল শেষ। বুধবার পূজার বন্ধে তেল আসবে না। তার মানে যাদের ডিজেল শেষ, তারা বুধবারও ডিজেল দিতে পারবেন না। একদম পরশু নিতে হবে।
মানুষ তেলের জন্য পাগল হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষ একদম পাগল হয়ে গেছে। আড়াই দিনের জন্য যে ডিজেল এনেছিলাম, সাত ঘণ্টায় তা শেষ হয়ে গেছে। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দুপুর ২টার পর পরই হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানীসহ দেশের অর্ধেক অঞ্চল। কী কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলো তা তাৎক্ষণিক নির্দিষ্ট জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।