গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় মঞ্চের প্রতিনিধিরা লাকি আক্তারকে ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও গ্রেপ্তার দাবি ঘোষণা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দাবি জানান। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শান্ত চত্বরে এসে শেষ হয়।
এ সময় সংগঠনটির সদস্য সচিব শান্তা আক্তার বলেন, তারা বরাবরই দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন সময়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দ্রুত লাকির শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
শাখা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ বলেন, ২০১৩ সালে একদল দেশদ্রোহী বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করে ভিন্ন মতের মানুষদের হত্যা করার বৈধতা দিয়েছিল। সেই উগ্রপন্থি রাষ্ট্রবিরোধীরা আবারও রাজপথে নেমে জুলাই আন্দোলনের শহিদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চাচ্ছে। তবে তারা মনে রাখুক এটি ২০১৩ নয়, এটি ২০২৫, নতুন বাংলাদেশের সময়। এখানে তাদের কিংবা তাদের পৃষ্ঠপোষকদের কোনো ঠাঁই নেই।
আরও পড়ুন : এবার সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণের দাবি হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর, যা জানা গেল
জবি ইনকিলাব মঞ্চের মিডিয়া সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, ২০১৩ সালে তারা যেভাবে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল, ২০২৪ সালের বিপ্লবোত্তর সময়েও সেই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদের মদদদাতা এই গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধারা মরে যায়নি। দ্বিতীয়বার শাহবাগ উত্থান আমরা যেকোনো মূল্যে ঠেকাব।এছাড়া পুলিশের উপর হামলা ও লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার দাবিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গণজাগরণ মঞ্চের লাকি আক্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। ছাত্র ইউনিয়নের ২০১৫-১৭ সময়ের কেন্দ্রীয় সভাপতিও ছিলেন লাকি।