নিজ ভূমি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে তুরস্কের আন্তালিয়াতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সৌদি আরবের এমন অবস্থান তুলে ধরেন গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানায় সৌদি গেজেট।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফিলিস্তিনের গাজায় বাসিন্দাদের বেঁচে থাকার ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রবেশকে কোনোভাবেই মেলানো যাবে না।
গাজায় যেন কোনো বাধা ছাড়া খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য প্রবেশ করে সেটি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থকারীর দায়িত্ব পালন করা মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আস্থা আছে বলেও জানিয়েছেন প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর মন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানে সবাই উল্লেখ করেন, গাজা, পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিমতীর থেকে কোনো ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করাকে প্রত্যাখ্যান করেন তারা। এছাড়া বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি অথরিটির (পিএ) সাথে এ তিনটি অঞ্চলকে একীভূত হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা। পশ্চিমতীরে পিএ-এর শাসন থাকলেও গাজা শাসন করে হামাস।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারানোর পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, মৃতের সংখ্যা ৬২ হাজারের বেশি। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজার হাজার নিখোঁজকে মৃত ধরে নেওয়া হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলি এ আগ্রাসন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ তৎপরতা চালায় কাতার ও মিশর। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও দুই মাস পর তা আবার ভেঙে যায়। এরপরই ১৯ মার্চ থেকে আবারও হামলা শুরু করে ইসরায়েল।