৫২ বসন্ত পূর্ণ করলেন অমিতাভ ও জয়া

অমিতাভের পরনে সোনালি রঙের শেরওয়ানি, গলায় গোলাপি ওড়না। জয়া বচ্চন লাল টুকটুকে লেহেঙ্গায় সেজেছেন। বিয়ের মণ্ডপে হাতে হাত রেখে পরস্পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারছেন বরেণ্য এই দুই তারকা। এটি কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়, বরং বাস্তব জীবনের। ১৯৭৩ সালের ৩ জুন বিয়ের সময়ে এভাবে ফ্রেমবন্দি হন তারা।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিবাহিত জীবনের ৫২ বছর পূর্ণ করলেন অমিতাভ-জয়া। সকাল থেকেই এ দম্পতির ভক্ত-অনুরাগীরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তাদের বিয়ের ছবি পোস্ট করে প্রিয় তারকার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করছেন। অবশেষে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন অমিতাভ বচ্চন।

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে অমিতাভ বচ্চন লেখেন, “বিবাহবার্ষিকীতে যারা জয়া ও আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাইকে আলাদাভাবে উত্তর দিতে পারব না, দুঃখিত।”

একসঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন অমিতাভ-জয়া। শোনা যায়, হৃষিকেশ মুখার্জির ‘গুড্ডি’ (১৯৭১) সিনেমার শুটিং সেটেই নাকি তাদের সম্পর্কের রসায়ন গভীর হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে বিয়ের বছরই তাদের ‘অভিমান’ সিনেমাটি হিট হয়। এটিও পরিচালনা করেন হৃষিকেশ। সেই থেকে তারকা জুটির ব্যক্তিগত রসায়ন যেন আরো গাঢ় হয়ে ওঠে। ‘সিলসিলা’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘মিলি’, ‘শোলে’-এর মতো একের পর এক সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শক হৃদয়ে দোলা দেন তারা। শেষ ‘কাভি খুশি কাভি গম’ সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায় অমিতাভ-জয়াকে।

এর আগে বিশেষ এই দিনের স্মৃতিচারণ করে অমিতাভ জানিয়েছিলেন, বিয়ের দিন পন্টিয়াক স্পোর্টস গাড়িতে চড়ে ভাড়া বাড়ি ‘মঙ্গল’ থেকে বাবা-মা এবং ড্রাইভার নাগেসকে নিয়ে মালাবার হিলসে জয়ার এক পরিবারিক বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টে রওনা হয়েছিলেন। সেদিন কয়েক ফোটা বৃষ্টিও হয়েছিল। সেই সময় এই অভিনেতার প্রতিবেশীরা চিৎকার করে বলেছিলেন, “তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে যাও, বৃষ্টি হচ্ছে, ভালো লক্ষণ।”

অমিতাভ-জয়ার দুই সন্তান—ছেলে অভিষেক বচ্চন ও মেয়ে শ্বেতা। বাবা-মায়ের পথ ধরে রুপালি জগতে পা রেখেছেন অভিষেক। অন্যদিকে, শ্বেতা বিজ্ঞাপনে অভিনয় করলেও সিনেমায় তাকে দেখা যায়নি। অমিতাভ-জয়ার পুত্রবধূ হয়ে এসেছেন বলিউড অভিনেত্রী এবং সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।