মুম্বাইয়ের বস্তিতে থাকছেন অভিনেত্রী দিব্যা, কিন্তু কেন

আচমকা প্রাসাদোপম বাড়ি ছেড়ে বস্তিতে উঠলেন ১০ হাজার কোটি রুপির মালিক প্রযোজক ভূষণ কুমারের স্ত্রী দিব্যা খোলসা। যেখানে মুম্বাইয়ের বস্তিগুলোয় মানুষের তিল ধারণের জায়গা নেই, সেখানে বিলাসবহুল বাড়ি ছেড়ে এক অপরিচ্ছন্ন নোংরা বস্তিতে কেন গেলেন অভিনেত্রী?

এর মধ্যেই বস্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলেমিশে কয়েক দিন ধরে থাকছেন দিব্যা খোলসা। এমনিতে অভিনেত্রীর প্রতিদিনের খাওয়াদাওয়ার খরচ অনেক। সেখানে কীভাবে সাধারণ মানুষের মাঝে অতিসাধারণ খাবার খাচ্ছেন তিনি। বস্তির ঘরে গিয়ে চা খাচ্ছেন, নাস্তা করছেন, তা নিয়ে কৌতূহল অনেকেই। এমন পরিবেশে থাকতে থাকতে তার মাথায় নাকি উকুনও বাসা বেঁধেছে।

তাহলে কি তার সংসারে অশান্তি চলছে? সে কারণে বাড়ি ছেড়ে এমন পরিবেশে মিশে গেছেন অভিনেত্রী। না, তেমন কিছুই নয়। দিব্যা খোলসা তার আগামী সিনেমা ‘চতুর নার’-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সিনেমায় বস্তির মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। সে কারণে চরিত্রটিতে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে বস্তিতে গিয়ে উঠেছেন দিব্যা।

বলিউডের অন্যতম বড় প্রযোজনা সংস্থা টি সিরিজের মালিক ভূষণ কুমার। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মালিক। তার স্ত্রীই অভিনেত্রী দিব্যা খোলসা। যদিও তিনি ব্যর্থ অভিনেত্রী হিসাবে বলিপাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে। তবে ভূষণ কুমারকে বিয়ে করে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন তিনি। বিয়ের পর অভিনয় থেকে ধীরে ধীরে প্রযোজনায় পা রাখেন দিব্যা।

মুম্বাইয়ে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সিনেম্যাটোগ্রাফি নিয়ে কোর্স করেছেন। টি সিরিজের হয়ে মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করতে থাকেন অভিনেত্রী। প্রায় ২০টি মিউজিক ভিডিওর পরিচালনা করেছেন তিনি। তবে দিব্যা চর্চায় এসেছেন তার রূপ ও বিলাসবহুল জীবনের কারণে।

এবার সিনেমায় বাস্তব রূপ দিতে বস্তিতে বসবাস করছেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দিব্যা বলেছেন, বস্তিতে থেকেছি টানা ২০ দিন। একটা নালার পাশে শুয়ে থাকতাম। প্রথম প্রথম সেখানকার পরিবেশে একটা বাজে গন্ধ আসে, সেটা নাকে খুব লাগত। পরে অবশ্য অভ্যস্ত হয়ে যাই।

অভিনেত্রী বলেন, সেখানে দেখেছি— নারীরা একে অপরের মাথার উকুন বাছেন। আমার মাথাতেও উকুন হয়ে যায়। এত কষ্ট করেছেন শুধু একটি চরিত্রকে পর্দায় জীবন্ত করে তুলতে।