প্রতিবছরই ধুমধাম করে নিজের জন্মদিন উদ্যাপন করেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। সেই অনুষ্ঠান ঘিরে হয় বেশ আলোচনা-সমালোচনা। অনুষ্ঠানের সাজসজ্জা থেকে শুরু করে পরীমণি নিজের পোশাক দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের চমকে দেন। তার অনুষ্ঠানের নানা কর্মকাণ্ডের ছবি, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
তবে এবার আর সমালোচনা নয়, পায়রার সাজে জন্মদিনে হাজির হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন পরী। শুধু তাই নয় এবারের আয়োজনেও ছিল ভিন্নতা। যার মধ্যে অন্যতম হলো পরীর জীবন পরিবর্তনভিত্তিক ডকুমেন্টারি ‘নতুন জন্মের গল্প’ প্রদর্শন। ১২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড ব্যাপ্তির ‘নতুন জন্মের গল্প’তে রাজের সঙ্গে দেখা হওয়া থেকে শুরু করে রাজ্যের জন্ম পর্যন্ত নানা সময়ের ঘটনা উপস্থাপন করেছেন পরীমণি।
শুরুতেই পরী বলেন, ‘এই গল্পটা শুধুই আমার ছিলো। এক দুরন্ত পরীর। সে শুধু উড়ে বেড়াতো স্বপ্ন-কল্পনার এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে। ডুবে থাকতো বন্ধু, আড্ডা, ফ্যাশন, গ্লামার, ফ্যান ফলোয়ার্স আর সিনেমার পর্দায় নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের নেশায়। শুধু কি পর্দায় জীবনও যে তার কম নয়। কিন্তু জীবনের এই সময়টাতে আমার রিয়েল হিরোটা কই সেটাই খুঁজছিলাম। ভাবতাম, কোনো এক গুণিন এসে হাতের রেখা গুনে যদি বলে দিতো, জীবনের এই পথটাকে খুঁজে দিতো। কোথায় যাচ্ছি আমি। কিন্তু প্রমিজ ছিলো, আর কোনো ভুল মানুষের কাছে যাবো না।’
আমার ওস্তাদ গিয়াসউদ্দিন সেলিম। যিনি আমার জন্য এক গুণিন নিয়ে এলেন। আমি মুখোমুখি হলাম সাদা পাঞ্জাবি পরা (শরিফুল রাজ) দুরন্ত যুবকের। কেনো এমন লাগলো তাকে দেখে। এ অস্তিরতার নাম কি। এই বলে স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে প্রেমর গল্প বলেন পরী।
পরীর ভাষায়, গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘গুণিন’ সিনেমার লুক টেস্ট। সেখানেই এই পাগলটা ছিলো। আমাদের রিহার্সালের জন্য আমাদের ডাকা হলো। দ্বিতীয় দিন আমার বাড়িতে তার সঙ্গে দেখা হয়। রাজের হাত ভাঙ্গা ছিলো। খাবার টেবিলে দেখলাম রাজ বাম হাত দিয়ে খাচ্ছে। তখন আমি ওকে খাইয়ে দিলাম। তখন থেকেই ওর জন্য মায়া লাগা শুরু গেছে। এরপর শুটিং আমাদের প্রেম। ওস্তাদও বিষয়টি মেনে ছিলেন…………। শুটিং থেকে ফিরে রাজ তার মাকে আমার বিষয়ে জানালো। মাও বিষয়টি মেনে নিলেন। এরপর সবার আড়ালে আমাদের বিয়ে হয়ে গেলো।’