প্রচলিত নিয়ম বা প্রথা অনুযায়ী বিয়ের প্রথম রাতে নব দম্পতিকে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে দেওয়া হয়, কেন? আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে, এই রীতির পিছনে যুক্তিটা আসলে কি?
বিয়ের পর প্রথম রাতে কনে হাতে করে একটা বড় গ্লাসে দুধ নিয়ে বাসর ঘরে যাওয়ার রীতিটাও চলে এসেছে বছরের পর বছর ধরে। বাসর রাত যে কোনো দম্পতির কাছেই সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর একটি।
এই বাসর রাতকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে প্রচলিত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রীতি। ভারতীয় উপমহাদেশের নানা জায়গায় বাসর রাতে বরের দুধ খাওয়ার রীতি রয়েছে।
কেবল দুধ নিয়ে যাওয়া হয় না, দুধের সঙ্গে মেশানো হয় কেশর। হিন্দু ধর্মে দুধ ভীষণই শুভ। তাই দম্পতির নবজীবনের সূত্রপাত যেন শুভ হয়, সেই জন্যেই মূলত এই রীতির প্রচলন করা হয়। তবে ধর্মীয় কারণ ছাড়াও এই প্রথার বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বিয়ের সময় নানা আচার-অনুষ্ঠান শেষে বর-কনে উভয়ের উপরই মানসিক ও শারীরিক ধকল যায়। কেশরে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা মানসিক চাপ কমিয়ে মন শান্ত করতে সাহায্য করে। উদ্বেগ কমায়, মনও ভালো করে। তাই নবজীবনের শুভ সূচনার জন্য এই পানীয় সত্যিই বেশ উপকারী।
এই রীতির সূত্রপাত হয় প্রাচীন শাস্ত্র অনুযায়ী, এই পানীয়ে চুমুক দিলে সহনশক্তি বাড়ে। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী দুধে কেবল কেশর নয়, কেশরের পাশাপাশি মৌরির রস, মধু, চিনি, হলুদ, গোলমরিচের মতো মশলাও মেশানো হত। এখন অবশ্য অনেক বাড়িতেই এতো কিছু মেশানো হয় না। তবে রীতিটা এখনও বিদ্যমান।
সূত্র: আনন্দবাজার