চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণের মধ্যে আইনি লড়াই অব্যাহত রয়েছে। তবে সবশেষ আদালতের অভিমত অনুসারে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে নিপুণ পুরোদমে তার দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। গত শনিবার (২৬ নভেম্বর) সমিতির কার্যকরী কমিটির মিটিং হয়। এ মিটিংয়ে মিশা-জায়েদ খানের প্যানেল থেকে বিজয়ীদের অংশগ্রহণ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এতে অনেকেই সাড়া দিয়েছেন। মিটিংয়েও অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত ও সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
তিনি বলেন, আমি কখনোই সমিতির মধ্যে বিভাজন ও দ্বন্দ্ব চাইনি, পছন্দও করিনি। বরাবরই বলে এসেছি, চলচ্চিত্র ও শিল্পীদের স্বার্থে আমাদের মিলেমিশে থাকতে হবে। নীতিগতভাবে আমাদের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে আমরা সমর্থন দিয়ে এসেছি। যেহেতু বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, তাই আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষা করেছি।
শুরু থেকেই বলেছি, আদালত যে রায় দেবে তা সবার মেনে নিতে হবে। এখন যেহেতু আদালতের তরফ থেকে জানা গেছে, নিপুণের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই, তাই মিটিংয়ে অংশ নিয়ে সমিতির কার্যক্রম গতিশীল করা আমার দায়িত্ব। সদস্যরা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি যদি সেই দায়িত্ব পালন না করি, তাহলে তাদের কাছে কি জবাব দেব?
ডিপজল আরও বলেন, আমার সমিতি করার প্রয়োজন নেই। আমি নিজেই একটি সমিতি। সমিতিতে থাকলেও আমি ডিপজল, না থাকলেও ডিপজল। এর কোনো হেরফের হবে না। তারপরও সবাইকে নিয়ে একসাথে সমিতি করছি চলচ্চিত্রের স্বার্থে এবং সমিতির সদস্যদের কল্যাণের জন্য।
খ্যাতিমান এই অভিনেতার ভাষ্য, এমনিতেই দুই বছর মেয়াদের কমিটির এক বছর চলে গেছে। সমিতি তো আর অচল থাকতে পারে না। সবার উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিলেমিশে বাকি এক বছর সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া। দ্বন্দ্ব-বিভাজন থাকা ঠিক নয়। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েই সমিতিকে এগিয়ে নিতে চাই।