আমাদের দেশের জাতীয় ফল হল আম এবং যেটা গ্রীষ্মকালে খাওয়া সম্ভব হয়, গোটা বছরের গ্রীষ্মকালে চাহিদা অত্যন্ত ভাবে বেড়ে যায় কাঁচা থেকে পাকা আমের। গরমকালে আমের ডাল, আমের চাটনি সাথে পাকা আম তো আছেই।
একদিকে আমের চাহিদা একদিকে আমের নানান প্রজাতি। দাম থাকে অত্যন্ত চড়াও এই কারণেই আমের চাষ করলে বেশি লাভবান হয় চাষিরা। তবে চলতি বছরে আমের বদলে আমপাতা বিক্রির ফলে মুনাফা করছে একাধিক কৃষকেরা। পূজায় আম গাছের আমের পাতার চাহিদা থাকে। আমের সাথে সাথে এই বৎসর আমের পল্লব বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
চলতি বছরে দক্ষিণবঙ্গে ফলন কম, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর আমের ফলন বেশি হয় না, এক বছর বেশি হয় তো পরের বছর কম হয়। যে বছর আমের ফলন কম হয় সেই বছরকে “অফ ইয়ার” বলা হয় এবং বর্তমান বছর “অফ ইয়ার”।
তবে আম ছাড়াও অনেক কৃষকেরা আমের পাতা বিক্রি করেও প্রচুর লাভ করেন কারণ পূজা-পার্বণে দরকার হয় প্রচুর আমের পল্লব সেই কারণে অনেক সময় চাষ করা হয় উন্নত মানের কিছু আম গাছ। এই আমের পল্লব বিক্রি করার জন্য উত্তর ২৪ পরগনার সাতপুর মসলন্দপুরের এক বাসিন্দা দীপক কুমার রায় জানিয়েছেন, তিনি এই আম গাছের জন্য কয়েক বিঘা জমি কিনে সেখানে আম গাছ চাষ করছেন এবং এই চাষ পাঁচ বছর ধরেই করছেন।
চাষ করার জন্য ভার্মি কম্পোস্ট এবং জৈব সার ব্যবহার করছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রত্যেক বছর তিনি আম চাষ করে দেড় লক্ষ টাকার কাছাকাছি লাভ করেন। বিশেষ করে সুবর্ণরেখা জাতের আম গাছ গুলি চাষের মাধ্যমে এই কাজগুলো তিনি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে গাছগুলির উচ্চতা ৫ থেকে সাড়ে ৭ ফুট রাখা হয় এবং আমের পল্লব গুলি বিশেষভাবে সেখানে বান্ডিল করে পাঠানো হয় স্থানীয় বাজারগুলিতে।
একবার যদি এই গাছ লাগানো হয় তবে ২০ বছর পর্যন্ত এই গাছের পাতা বিক্রি করে ব্যবসা করা যায় এবং এই চাষে খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা মত তবে এই ধরনের একটি সাফল্য অন্যান্য কৃষকদেরও নতুন ভাবে আয় করার একটি রাস্তা দেখিয়েছে।