এবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে আ;বে;দনম;য়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া- ইভানা নোল। রক্ষণশীল কাতারের নির্দেশনা অমান্য করে তিনি প্রকাশ্যে এসেছেন খোলামেলা পোশাক পরে।
স্টেডিয়ামে সেই পোশাকে হাজির হয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যেই বিশ্বের নানা গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তাকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এমনকি হতে পারে জেলও। কিন্তু মোটেই শাস্তির ভয়ে ভীত নন তিনি।
সাধারণত বিশ্বকাপ ফুটবলে আ;বেদ;নম;য়ী;, বিশেষ করে যৌন আ;বেদন;ময়ী, নিষিদ্ধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত যুবতীদের রমরমা অবস্থা থাকে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপ চলছে রক্ষণশীল কাতারে। সেখানে ন;গ্ন;তা, ম;দ, অ;সামাজি;কতা নিষিদ্ধ করা হয়।
নারীদেরকে মর্যাদা রক্ষা করে পোশাক পরতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ইংল্যান্ডসহ সব দেশের খেলোয়াড়দের স্ত্রী অথবা প্রেমিকা কাতারে রয়েছেন শা;লীন পোশাকে। কীভাবে এমন পোশাক পরতে হয়, কি ধরনের পোশাক পরলে শালীনতা রক্ষা হয়- এ জন্য তারা বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়েছেন বা নিচ্ছেন।
কিন্তু কোনো বিধিনিষেধের ধার ধারেননি ইভানা নোল। তিনি খোলামেলা পোশাকে উপস্থিত হয়ে ফুটবল ভক্তদের, বিশেষ করে পশ্চিমা ফুটবল ভক্তদের হৃদয় কেড়ে নিয়েছেন। তারাই তাকে এবার বিশ্বকাপের সবচেয়ে ‘সে;ক্সিস্ট ফ্যা;ন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে সমালোচনা যে হয়নি তা নয়। অনেকেই বলেছেন, তিনি কাতারে পোশাকের শালী;নতার প্রতি অসম্মা;ন দেখিয়েছেন। আলোচনা-সমালোচনা বা শাস্তির হুমকি থাকলেও তিনি পোশাকের রীতি পরিবর্তন করেননি।
এ প্রসঙ্গে ইভানা নোল বলেন, প্রথমে আমি ভেবেছি বিশ্বকাপটা যদি কাতারেই হয়, তাহলে কোনোরকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই সব ভক্তকে তাদের ইচ্ছেমতো সবকিছু করতে দেওয়া উচিত। এটাই স্বস্তির কথা হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারপরই জেনেছি ওইসব নিয়মকানুনের কথা। এটা জেনে আমি হতাশ। যে ড্রে;সকোড দেওয়া হয়েছে, তার অধীনে নারীদের কাঁধ ঢাকা থাকতে হবে। বুকের ভাঁ;জ দেখানো যাবে না। হাঁটু ঢাকা থাকতে হবে। পেট ঢাকা থাকতে হবে। সবকিছু ঢাকা থাকতে হবে। তারপরই দেখলাম আমি তো এসব রীতি অনুসরণ করে এমন কোনো পোশাকও আনিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি মুসলিম নই। তবে ইউরোপে আমরা যদি হিজাব এবং নিকাবের প্রতি সম্মান দেখাই তাহলে কেন আমাদের পোশাকের প্রতি সম্মান দেখানো হবে না। এটা নিয়ে আমি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছি। আমার মনে হয়, তাদের উচিত আমাদের জীবনধারা, আমাদের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো। আমরা পরি যেসব পোশাক তার মধ্যে আছে বি;কি;নি। কারণ, আমি একজন ক্রোয়েশিয়ান ক্যাথলিক। আমার দেশ বিশ্বকাপে খেলছে কিন্তু আমি যখন কাতারে পৌঁছালাম, বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম এখানে পোশাক নিয়ে তারা কোনো সমস্যা করছে না। আপনার যা পছন্দ তেমন পোশাকই পরতে অনুমতি দিচ্ছে। এতে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু সরকারি অফিসগুলো। সব মিলিয়ে এটাকে একটি ভালো বিবেচনা বলতে হয়।
ইভানা নোলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাকে রগরগে পোশাক পরার কারণে গ্রে;প্তার করা হতে পারে। এতে তিনি ভয়ে আছেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, এমন কোনোকিছু নিয়ে আমি কখনোই ভীত নই।
প্রসঙ্গত, কাতারে ক্রোয়েশিয়ার থিম ব্যবহার করে একটি সৈকত সাজানো হয়েছে। সেখানে এর আগে তিনি প্রায় একইরকম পোশাক পরে উপস্থিত হন। আসলে তিনি সেখানে ফটোশুট করেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও তিনি একইরকমভাবে উপস্থিত হয়েছিলেন। ফলে তখন থেকেই পরিচিতি লাভ করেন।