সুস্মিতা সেন বলিউড থেকে বহুদিন আগেই বিদায় নিয়েছেন। তবুও তাঁর জনপ্রিয়তা আজও শীর্ষে। তাঁকে অসংখ্য মহিলারা অনুপ্রেরণা হিসাবে দেখে। সুস্মিতার কথা বলা, তাঁর জীবন, তাঁর সিদ্ধান্ত, প্রতিটি পদক্ষেপই মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই জীবনের কঠিন মুহূর্তে এগিয়ে যেতে শেখায়। ২০১৭ সালে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে গিয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। আশপাশে ছিলেন একাধিক দেহরক্ষী। যারা অত্যন্ত সন্তর্পণে সুস্মিতাকে রক্ষা করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তবুও ভিড়ের মাঝে সেলফি নেওয়ার জন্য ঝাঁপাঝাপি করতে থাকে অনেকেই। সেই সুযোগই নিয়ে বসেছিল একটি ছেলে। ভিড়ের মাঝে সুস্মিতাকে অশালীনভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিল সেই ছেলেটি। সুস্মিতা তাঁকে তৎক্ষণাৎ ধরে ফেলতেই নিমেষে পাল্টে গেল পরিস্থিতি।
সাংঘাতিক ভিড়। বঙ্গতনয়া, মিস ইউনিভার্সকে চোখের দেখা দেখতে কে না চায়। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বসে একটি ১৫ বছর বয়সী ছেলে। যে ভিড়ের মাঝে দেহরক্ষীদের টপকে ঢুকে পড়ে। এবং সুস্মিতার একেবারে নিকটে চলে আসে। সাধারণত সেলফি তুলতে আসার জন্যই এমন সাহসিকতা দেখায় ভক্তরা।
তবে সেই পনেরো বছরের ছেলেটির উদ্দেশ্য ছিল সুস্মিতাকে অশ্লী;লভাবে ছোঁয়ার। তবে এই বয়সেই নিজেকে ওয়ার্ক আউটের মাধ্যমে মেনটেন করা সুস্মিতা কারও থেকে কম যান না। নিজের তৎপরতার কারণে তিনি বুঝতে ছেলেটি সুস্মিতার দু’টি পায়ের মাঝে ছোঁয়া চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলেন ছেলেটির হাত। তারপরই চমকে যান তিনি।আশা করেননি একটি পনেরো বছরের ছেলেকে তিনি এমন অবস্থায় ধরবেন।
ছেলেটিকে ধরতেই গলা ধরে হাঁটতে হাঁটতে একপাশে নিয়ে যান। এবং বলেন, “আমি যদি এখন পু;লিশ কাছারি করি তাহলে তোমার জীবন ন;ষ্ট হয়ে যাবে।” সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটি বলতে থাকে সে কিছু করেনি।
সুস্মিতার চাপাচাপি করায় সে স্বীকার করে নিজের ভুল। এবং কথা দেয় সে আর কখনও এমন কাজ করবে না। যদিও সুস্মিতা তাকে খানিক হালকা হুমকিও দেন। ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করলে তিনি ছেলেটির মুখ চিনে রেখেছেন। সেই সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে তাঁর এক ফোঁটাও সময় লাগবে না। সুস্মিতা এভাবেই জনসমক্ষে হে;নস্তা থেকে বেঁচেছিলেন।