নিজেকে প্রমাণ করেছেন লিওনেল মেসি। তার অসামান্য নৈপূণ্যে আবার বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেললো আর্জেন্টিনা। তবে এবার আর ২০১৪ সালের মতো মাখা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয়নি।
শিরোপা উৎসব করতে করতে মাঠ ছেড়েছে মেসির সেনারা। ঘুচিয়েছে ৩৬ বছরের আক্ষেপ। দিয়েগো ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে যে উৎসবে মাতিয়েছিলেন ১৯৮৬ সালে, সেই উৎসব আবারও করছে আর্জেন্টাইনরা।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ইতিহাসে সেরা ফাইনাল উপহার দিয়ে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে মেসিরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ২-২ গোলে খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত ৩০ মিনিট শেষে স্কোর ৩-৩। অবশেষে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ সেখানে মার্টিনেজের নৈপূণ্যতায় ৪-২ গোলের জয়। উল্লাসে ফেটে পড়ে লুসাইয়েরর গ্যালারি। তবে শুধু শিরোপায় নয় এরপর আরও তিনটি পুরষ্কার উঠেছে আর্জেন্টাইনদের হাতে।
বিশ্বকাপে শিরোপার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সাফল্যের জন্য মোট ৪টি পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি বাইরে গেছে। সর্বোচ্চ গোলদাতা পান গোল্ডেন বুট, সেরা ফুটবলার পান গোল্ডেন বল, সেরা গোলরক্ষক পান গোল্ডেন গ্লাভস আর সেরা উদীয়মান অর্থাৎ তরুণদের মধ্যে সেরা একজন পুরষ্কার পান।
এই চারটির মধ্যে একটি গেছে ফ্রান্সে। বাকি তিনিট আর্জেন্টিনার দখলে।
ফাইনালে হ্যাটট্রিকসহ ৮টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন এমবাপে। আর লিওনেল মেসি ৭টি গোলের পাশাপাশি ৩টি এসিস্ট করেছেন। তাই তিনি হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার। আর সবচেয়ে বেশি সেভ করে মার্টিনেজ পেয়েছেন গোল্ডেন গ্লাভস। আর সেরা উদীয়মান নির্বাচিত হয়েছেন এনজো ফার্নান্দো। শিরোপা উল্লাসকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে এই পুরস্কারগুলো।