আঙুরের শুকনো ক্যাটাগরি হলো কিশকিশ। শুধু ছোটদের কাছে নয়, বড়দের কাছেও লোভনীয় নাম এই কিশমিশ। ড্রাই ফ্রুট হিসেবে বিশ্বব্যাপাী সবচেয়ে জনপ্রিয় কিশমিশ। ছোট্ট এই খাবারটির রয়েছে বড় গুণ।
কিশমিশ ভেজানো পানি মানবদেহের জন্য বেশ উপকারী। তবে এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আসুন দেখে আসি কিশমিশের পুষ্টিগুণ ও উপকার-অপকারের তালিকা।
সবার আগে জেনে নিন কেমন কিশমিশ কিনবেন। যেসব কিশমিশ খুব চকচক করছে, তাতে কেমিক্যাল মেশানো থাকে। যা বেশি শক্ত না আর বেশি নরম না। গাঢ় রঙের কিশমিশ কিনবেন।
কিশমিশ ভেজানো পানি তৈরি করতে শুরুতে কিশমিশগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিন। রাতে একটি পাত্রে ২ কাপ পানিতে ১৫০ গ্রাম গাঢ় রঙের কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেকে পানিটা হালকা গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিন। ৩০-৪০মিনিট কিছু খাবার খাবেন না।সপ্তাহে ৩-৪দিন খেতে পারেন।
কিশমিশ ভেজানো পানি পানের উপকারিতা:-
১. যেসব ব্যক্তির হজমের সমস্যা আছে তারা এটা খেতে পারেন এতে উপকার পাবেন।
২. কিসমিস ভেজানো পানি লিভার সুস্থ রাখে এবং কিডনির বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূর করে।
৩.অনেক মহিলাদের রক্তাল্পতার সমস্যা আছে তারা এই কিশমিশ ভেজানো পানি খাবেন।
৪. শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলকেও দূরে রাখে।
৫. কিশমিশের পানি লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৬. কিশমিশ ভেজানো পানি পানে শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলে রক্ত পরিশোধিত হতে শুরু করে।
রাত কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেটা খাবেন। ভেজানো কিশমিশে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
কিশমিশ ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা:-
> ভেজানো কিশমিশ খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি হয়।
> ভেজানো কিশমিশ শরীরকে দূষণমুক্ত করে।
> এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
> আরও আছে আয়রন। যা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
> কিশমিশে আছে পটাসিয়াম। যা হাই ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
> সেই সঙ্গে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম, জিংক। যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
> এই ড্রাই ফ্রুটে আছে ক্যালসিয়াম ও বোরন। যা দাঁত ও হাড় এর গঠনে কাজ করে।
> কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটি দূর করে।
কিশমিশের অপকারিতা:
> যেসব ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস এবং যারা খুব স্বাস্থ্য সচেতন তারা অতিরিক্ত কিশমিশ খাবেন না। এছাড়াও অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। এটা ঠিক যে কিশমিশ হজমের সমস্যা দূর করে কিন্তু এটাও ঠিক যে অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে এই সমস্যা হতে পারে।
> যেসব ব্যক্তিদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে বা কিশমিশ খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তারা কিশমিশ খাবেন না। যদি কিশমিশ খান ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই খাবেন।
তবে মূল কথা হলো সব খাবারই পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। তাই অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।