শর্মিষ্ঠা ঘোষ। ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করেছেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের চাকরি করতেন। চায়ের দোকান চালাবেন বলে এমন চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা একটু অবিশ্বাস্য বলেই মনে হবে। কিন্তু, এমন ঘটনাই বাস্তবে ঘটেছে। শর্মিষ্ঠা ঘোষ বড় ব্যবসায় উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
তিনি স্বপ্ন দেখেন চায়ের বিখ্যাত চেইন শপ “চায়স”-এর মতো বড় কিছু করার। ভারতজুড়ে এই চেইন শপের শাখা রয়েছে। শর্মিষ্ঠার চায়ের দোকানের গল্পটি লিংকডিনে পোস্ট করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় খান্না । এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শর্মিষ্ঠার বান্ধবী ভাবনা রাও বিমান সংস্থা লুফথানসায় চাকরি করেন। তিনিও চায়ের দোকান পরিচালনায় যুক্ত। শর্মিষ্ঠার পরিবারও সন্ধ্যায় তাৎকে সহযোগিতা করে।
শর্মিষ্ঠার একটি ছবি দিয়ে সঞ্জয় লিংকডিনে লিখেন, “আমি কৌতূহলী হয়ে তার কাছে এটা করার কারণ জানতে চাইলাম। তিনি জানালেন, ‘চায়স’–এর মতো বড় প্রতিষ্ঠান গড়তে চান। চেইন শপটির সারা দেশে শাখা আছে।”
পোস্টে সঞ্জয় লেখেন, “আমি অনুমতি নিয়েই এই পোস্ট লিখছি এবং তার সঙ্গে তোলা ছবিটি পোস্ট করছি। আমি মনে করি, নিচু ও ছোট কাজ বলে কিছু নেই। অন্যদের উৎসাহ দিতে এ ধরনের মানুষকে সামনে আনা উচিত।’
তিনি আরও লেখেন, “নিজের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে এবং সেটা বাস্তবায়ন করতে যেকোনো ব্যক্তির অবশ্যই প্রবল আগ্রহ ও নিষ্ঠা থাকতে হবে। অনেক উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণকে দেখেছি, যারা হতাশাগ্রস্ত।
পেশাদার মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি উপযুক্ত চাকরির সন্ধানে রয়েছেন তারা। তাদের জন্য এই বার্তা।”
তিনি আরও বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, কেউ যেন উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার ও বড় চাকরির ভাবনায় পড়ে না থাকে। বরং দীর্ঘমেয়াদি অর্জন ও উন্নতির জন্য ছোট উদ্যোগ ও উপায়গুলো নিয়ে ভাবে।”
পোস্টটি শেয়ার হওয়ার পর সেটি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। শর্মিষ্ঠা ও তার বান্ধবী ভাবনার এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।