ভাঙা পড়ার কথা ছিল বাড়িটির। কিন্তু তিনি আবার নতুন করে বাড়ি বানাতে চাননি। তাই নিজের আস্ত বাড়িটাই ৫০০ ফুট সরিয়ে নিয়ে গেলেন এক কৃষক। অনেক যত্ন করে বাড়িটা বানিয়েছিলেন তিনি। খরচও করেছিলেন দুহাতে। কোথাও কোনও কার্পণ্য করেননি। বাড়িটা তৈরি করতে দেড় কোটি টাকা খরচ করেছিলেন।
এমন শখ করে বানানো বাড়ি এসে পড়েছিল সরকারের কোপে। বাড়িটি যেখানে সেখান দিয়ে নতুন রাস্তা বার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই পথে যে কটি বাড়ি পড়ছে সবই ভাঙতে হবে। সেজন্য ক্ষতিপূরণও দিয়ে দেবে সরকার।
কিন্তু পাঞ্জাবের সঙ্গরুরের রোশানওয়ালা গ্রামের বাসিন্দা সুখবিন্দর সিং সুখি পেশায় কৃষক। তবে যথেষ্ট ধনী কৃষক। তিনি এই ক্ষতিপূরণ নিতে রাজি হননি। কিন্তু সরকারি নির্দেশ তো উপেক্ষা করা যায়নি।
তাঁর বাড়ি যেখানে তৈরি হয়েছে ঠিক সেখান দিয়েই চলে যাবে দিল্লি অমৃতসর কাটরা এক্সপ্রেসওয়ে। ফলে জায়গা তো ফাঁকা করে দিতেই হবে।
তাঁর স্বপ্নের বাড়িও ভাঙবে না আবার সরকারি নির্দেশও পালন করা হবে, ২ বজায় থাকে এমন একটা রাস্তা অবশেষে খুঁজে পেলেন সুখি। তিনি আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নিজের আস্ত বাড়িটাই সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই বাড়ি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। সুখবিন্দর ৫০০ ফুট দূরে একটি জায়গায় তাঁর বাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য বাড়িটি ভিত থেকেই তুলে বিশেষ চাকাযুক্ত যন্ত্রের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা গড়াতেও শুরু করেছে।
খুব ধীর গতিতে ওই যন্ত্র নতুন জায়গায় বাড়িটিকে প্রতিস্থাপিত করে দেবে। এতে রাস্তা তৈরিতেও সমস্যা থাকবে না। আবার সুখির স্বপ্নের বাড়িও যেমনকার তেমন থেকে যাবে।