প্রকৃতি আমাদের খেয়ে বেঁ’চে থাকার জন্য সমস্ত কিছু দিয়েছে। সারা পৃথিবীতে শাক সবজি ও সব রকমের শষ্য উতপন্ন হয়। আর আমাদের জন্য প্ররকৃতির সবচেয়ে বড় উপহার হল ফল।
ফল সবার জন্য খুবিই উপকারি। সব বয়সের মানুষের উচিত রোজ একটি করে ফল খাওয়া। কিন্তু এমন কিছু ফল আছে যা বিশেষ কিছু রো’গ থাকলে খওয়া উচিত নয়।
কোন রো’গ হলে ডাক্তাররা তাকে সু’স্থ করে তোলার জন্য ফল খাওয়ার প’রামর্শ দেন। কিন্তু ডালিম বা বেদানা খাওয়া সকলের জন্য উপকারী নয়। বেদানা যেমন সুন্দর দে’খতে লাল রঙের হয়, তেমন খেতেও খুব সুস্বাদু হয়।
বেদানার রস শ’রীরের পক্ষে খুব উপকারি। বেদানার রস শ’রীরকে তরতাজা করে তোলে। তাই অনেকে তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বেদানা রাখে। কিন্তু কখনো কখনো কারোর কারোর ক্ষেত্রে বেদানা মা’রাত্মক হতে পারে সেটা জা’নেন কি?
এমনকি প্রান পর্যন্ত যেতে পারে।আজকে আপনাদের এমন চার প্রকারের ব্যাক্তির কথা বলবো যাদের জন্য বেদানা প্রানঘাতি হতে পারে। আসুন তাহলে জে’নে নিন কাদের বেদানা খওয়া উচিত নয়…
১। কম র’ক্তচা’পের লোকেদের বেদানা খওয়া একদম উচিত নয়। আজকালকার জীবনে উচ্চ র’ক্তচা’পের রো’গ বেশিরভাগ মানুষের থাকে। তাদের জন্য বেদানা একটি আশির্বাদ। বেদানা সেবনে উচ্চর’ক্তচা’পের সব স’মস্যা কমে যায়। আর আপনার যদি কম র’ক্তচা’পের মত স’মস্যা থাকে তাহলে আপনার জন্য বেদানা মা’রাত্মক ক্ষ’তিকারক। কারন তাতে র’ক্তচা’প আরো কমে যেতে পারে। আর তার ফলে প্রানসংশয় হতে পারে।
২। মা’নসিক রো’গে আক্রা’ন্ত যেসব রো’গীরা, যারা নিয়মিত মা’নসিক রো’গের জন্য ওষুধ খান তাদের জন্য বেদানা প্রায় বিষের সমান।
৩। সর্দি কাশিতে বেদানা খেলে শ’রীরের আরো ক্ষ’তি হয়। বেদানা সাধারনত ঠান্ডা ফল। তাই সাধারনত গরমকালেই এই ফল খাওয়া হয়। যাদের সর্দি কাশি বা ঠান্ডা লা’গার ধাত আছে তাদের বেদানা খওয়া উচিত নয়। এর ফলে আরো ঠান্ডা লাগতে পারে। তাদের বেদানার পরিবর্তে গরম কিছু খাওয়া উচিত।
৪। অ্যালার্জিতে বেদানা খওয়া ক্ষ’তিকর। এমন অনেক লোক আছে যাদের ধুলো, বালি বা কোন নোংরাতে অ্যালার্জি আছে, তাদের পক্ষে বেদানা খওয়া খুব ক্ষ’তিকর। বেদানায় এমন কিছু উপাদান আছে যা অ্যালার্জির স’মস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। তাই আপনাদের মধ্যে যদি এই ধ’রনের কোন স’মস্যা থাকে তাহলে এই বেদানা থেকে শত হস্ত দূ’রে থাকুন।