বাইন, বাইম, বান। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ চীনে এই মাছ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সকল সব জলাশয়ে কমবেশি পাওয়া যায়। এদের দেহ সাপের মতো দীর্ঘাকার ও প্রায় নলাকার। এদের দেহ আঁইশবিহীন। এই মাছের পৃষ্ঠদেশের রঙ বাদামী।
এর ভিতরে কালো বর্ণের আঁকাবাঁকা দাগ দেখতে পাওয়া যায়। অঙ্কীয়ভাগ হলুদাভাব বাদামী। মুখ ছোট আর উভয় চোয়ালে তীক্ষ্ণ দাঁত রয়েছে। পৃষ্ঠপাখনার প্রথম ৩২-৪০টি। পাখনারশ্মি কাঁটায় রূপান্তরিত হয়েছে।
এই পাখনারশ্মি মাথার পর থেকে শুরু করে দেহের অর্ধেকেরও পর পর্যন্ত বিস্তৃত। অবশিষ্ট পাখারশ্মির গোড়ায় এক সারি কালো বৃত্তাকার দাগ দেখতে পাওয়া যায়। বক্ষ ও পুচ্ছ পাখনায় যথাক্রমে ২১-২৭ ও ১৪-১৭টি পাখনারশ্মি রয়েছে।
পায়ুপাখনার প্রথম তিনটি পাখনারশ্মি কাঁটায় রূপান্তরিত হয়েছে। অবশিষ্ট পাখনারশ্মির সংখ্যা ৬৪-৯০টি। শ্রোণী পাখনা অনুপস্থিত। পৃষ্ঠ ও পায়ু পাখনা পুচ্ছপাখনার সাথে সংযুক্ত। তেমনি অনলাইনে এক যুবকের বাইন মাছ ধরার ভিডিওটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।