তুলি ভালোবেসে নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ঘর বাঁধে শ্যামলের সঙ্গে। কিন্তু শ্যামলের মা তুলিকে ছেলের বউ হিসেবে মেনে নেয়নি কখনো। এই টানাপড়নে চলতে থাকে তুলি-শ্যামলের নতুন সংসার। কিন্তু এক সময় দাম্ভিক মা জিতে গিয়েও হেরে যায়! এমনই এক গল্পে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘শেষ চিঠি’। যে গল্পে আছে প্রেম, পরিবার আর বিচ্ছেদের রেশ। সুমন ধর পরিচালিত চরকি ফ্লিক ‘শেষ চিঠি’
এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দেখা যাবে ইয়াশ রোহান ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘিকে। চরকির সঙ্গে দীঘির এটাই প্রথম কাজ। তবে ইয়াশকে এর আগে চরকির নেটওয়ার্কের বাইরে ও তিথির অসুখ-এ দেখা গেছে। ইয়াশ ও দীঘির পাশাপাশি সাবেরী আলম, হিন্দোল রায়, মিলি মুন্সীকেও দেখা যাবে এই গল্পে।
দীঘি বলেন, এই মুহূর্তে আমি চেষ্টা করছি বেছে বেছে ভালো কাজ করার। শেষ চিঠি কাজটি তেমনই। গল্পটি আমার খুব কাছে ও পছন্দের। এই কাজটি দিয়ে ওয়েবে আমার ডেবিউ হচ্ছে।
‘আর চরকির যেকোনো কাজ, প্রোগ্রাম-প্রিমিয়ারে আমি থাকি। আর প্রথম ওয়েবের কাজটাই চরকিতে মুক্তি পাবে। তো আমার জন্য ব্যাপারটা ডাবল খুশির। আমার বিশ্বাস ইয়াশ-দীঘি জুটিকে দর্শক ভালোবাসা দিয়ে গ্রহণ করবে।’
অভিনেতা ইয়াশ ‘শেষ চিঠি’ নিয়ে বলেন, চরকির সঙ্গে এ পর্যন্ত আমার দুটি কাজ করা হয়েছে। প্রতিটার গল্প ও আমার চরিত্র একদম ভিন্ন ছিল। শেষ চিঠি-তেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এখানে আমার যে চরিত্রটা দেখানো হয়েছে এখানেও একদম ভিন্ন ইয়াশকে দেখবে দর্শক।
পরিচালক সুমন ধর তার কাজ নিয়ে বলেন, নির্মাণের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন রয়েছি। সব সময় চেয়েছি ভালো নির্মাণ দিয়ে দর্শকের মন জয় করতে। বর্তমানে পুরো দুনিয়াসহ আমাদের দেশেও ওটিটি এখন বিশাল মার্কেট তৈরি করে ফেলেছে। নতুন ও ভিন্নধর্মী কনটেন্ট দেখার জন্য দর্শক দিন দিন ওটিটির দিকে ঝুঁকছে। আমিও চেষ্টা করেছি শেষ চিঠি-এর মধ্য দিয়ে ওটিটির জন্য নতুন গল্প দেয়া।