বিদেশি স্টাইলে তরুণীদের সর্বনাশ করতেন তিনি

শয়নকক্ষক সাজিয়েছেন পশ্চিমা বাসাবাড়ির আদলে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করেন ফ্রান্সের নম্বর। এর পেছনে একটাই টার্গেট অবিবাহিত সুন্দরী তরুণী। বিদেশি বাসাবাড়ির আদলে সাজানো কক্ষ থেকে সফটওয়ারের মাধ্যমে ফ্রান্সের ফোন নম্বর থেকে কথা বলতেন তরুণীদের সঙ্গে। কখনো ফোনে, কখনো ইমোতে আবার কখনো হোয়াটসঅ্যাপে।

বিয়ে করে ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে ফেলেন তাদের। কাউকে গোপনে বিয়ে করেন আবার কাউকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আদায় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। ফ্রান্স প্রবাসী পরিচয়ে এমন প্রতারণা করে অসংখ্য মেয়ের সর্বনাশ করে অবশেষে পুলিশের খাঁচায় বন্দি হয়েছেন তিনি। ভয়ংকর এই প্রতারকের নাম ইমাম হোসেন (৪২)।

তার কাছে প্রতারিত হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়া এক তরুণীর মামলার প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও (কোনাপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুছের ছেলে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ ইমাম হোসেনকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ওই তরুণী।

আদালতের নির্দেশে গত ২ জানুয়ারি বিশ্বনাথ থানায় মামলা রুজু হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন সিলেটের ওসমানী নগরের দিরারাই গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে বশির উদ্দিন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া মিন্টু, তার স্ত্রী মিনু ও বাওধরন গ্রামের মৃত তরমুজ আলীর ছেলে রুপন আহমদ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ শর্ম্মা জানান, ‘পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৪টি বিয়ে করেছে বলে জানিয়েছে ইমাম হোসেন। তবে, আমাদের ধারণা তার বিয়ের সংখ্যা ১৫-২০টির মতো হবে। তার মোবাইল ফোন ঘেঁটে পুলিশ অনেক তথ্য ও অসংখ্য মেয়ে সঙ্গে তার ছবি পেয়েছে।

সে শতাধিক মেয়ের সর্বনাশ করেছে বলে ধারণা করছি। তার রিমান্ড চাইবে পুলিশ।’ প্রতারক ইমাম হোসেনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা। তিনি জানান, ‘তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।