শাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে বিপাকে রচনা ব্যানার্জি

বড় পর্দা থেকে অনেকদিন আগেই নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন রচনা ব্যানার্জি। প্রথম যখন তিনি টিভির রিয়েলিটি শো ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে আসেন, তখন অনেকেরই যেন তা বিশ্বাস হয়নি। তবে রচনার সেই সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল তা বুঝিয়ে দিয়েছে শো-র সাফল্য।

প্রতিদিন বিকেল হতেই ঘরে ঘরে চলে ‘দিদি নম্বর ১’।

কলকাতার দিদি হিসেবে তারকা থেকে আমজনতা সকলের কাছেই ভীষণ প্রিয় অভিনেত্রী।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, ২০২১ সালে নিজের শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছিলেন রচনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা জানাতেই শুরু হয়েছিল সমালোচনা। ‘রচনা’স ক্রিয়েশন’ নামে শাড়ির বুটিক খুলে অনেকেরই বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি সেইসময়। কেউ বলেছিল অভিনেত্রী ‘গরীবের পেটে লাথি’ মারছেন, তো কারও দাবি ছিল গড়িয়াহাটের ৬০০ টাকার শাড়ি রচনার কাছে দাম নাকি ৬০০০।

আসলে আজকাল অনেক নারীরই শাড়ি থেকে জামা কাপড় অনলাইনে বিক্রি করেন ঘরে বসে। দাবি, তাঁদের দেওয়া লাইভের রিকোয়েস্ট দেখে সকলেই বিরক্ত হয়। আর রচনা ব্যানার্জি শাড়ি বিক্রি করা শুরু করতেই সেখানে উপচে পড়ছে ভিড়। আর যাঁরা পেটের টানে এসব করেন, তাঁদের পাত্তা দেয় না মানুষ।

কেন শাড়ির ব্যবসায় আসার সিদ্ধান্ত ছিল? রচনা কিন্তু নিজেই দিয়েছিলেন সেই জবাব। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘আমি এসব ট্রোলারদের নিয়ে ভাবি না। কারণ কেউ তো আমাকে এক পয়সা দিয়ে হেল্প করবে না। প্রথম কাজে মাত্র ৪০০ টাকা পেয়েছিলাম। আজ আমি যেখানে তার জন্য নিজেই সবটা করেছি। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি যে একটা বয়সের পর বিনোদনের জগতে কাজ কমে যাবে। তখন আমাকে তো রোজগার করতে হবে। তাই এখন থেকেই কেন বাছব না বিকল্প পথ। ’

রচনা জানিয়েছিলেন বাবা থাকতেই তিনি সে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তাঁর বাবা সবটা শুনে রাজিও হয়েছিলেন। আর তাঁর বিশ্বাস নারীরা তাঁর সঙ্গে রিলেট করতে পারে। তাই এই ব্যবসা তাঁর জন্য ভালোই হবে। বাজারে এখন ‘রচনা’স ক্রিয়েশন’-এর শাড়ির চাহিদা কিন্তু প্রচুর।