সরকারি কর্মচারীদের জন্য এবার আসছে দারুণ সুযোগ। তাদের সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্যৎ তহবিল (সিপিএফ) থেকে সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বেশি মুনাফা লাভ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এই তহবিলগুলোতে টাকা জমা রেখে কর্মচারীরা ১১ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাবেন।
এই ঘোষণা বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা হয়। এতে সই করেছেন উপসচিব মিতু মরিয়ম।
সরকারি কর্মচারীরা তাদের সঞ্চিত টাকা অনুযায়ী তিনটি স্লাবের ভিত্তিতে মুনাফা পাবেন:
১৩ শতাংশ মুনাফা: ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে।
১২ শতাংশ মুনাফা: ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে।
১১ শতাংশ মুনাফা: ৩০ লাখ ১ টাকা বা তার বেশি জমা রাখলে।
এটি আগের বছরগুলোর মতোই একই স্লাব ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে।
যারা সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তারা জিপিএফে টাকা জমা রাখেন, আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা সিপিএফে টাকা রাখেন। সিপিএফের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে নিজেদের কর্মচারীদের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করতে পারবে।
এছাড়া, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় স্কিমের মুনাফা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই বৃদ্ধি ১২.২৫ শতাংশ থেকে ১২.৫৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে, যা ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
স্কিমগুলো হলো:
পরিবার সঞ্চয়পত্র
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
পেনশনার সঞ্চয়পত্র
পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুটি ধাপে মুনাফা নির্ধারণ করা হয়েছে:
প্রথম ধাপ: ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচে বিনিয়োগকারী
দ্বিতীয় ধাপ: ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপরে বিনিয়োগকারী
প্রথম ধাপে বিনিয়োগকারীরা বেশি মুনাফা পাবেন, তবে সময় অনুযায়ী মুনাফার হারও পরিবর্তিত হবে।
সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য স্লাব অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে তারা তাদের বিনিয়োগের সুবিধা বেশি পেতে পারেন। তবে, বিনিয়োগের মুনাফা নির্ধারণ করার পর ৬ মাস পর এই হার পুনঃনির্ধারণ হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিনিয়োগকৃত সঞ্চয়পত্রে নির্ধারিত মুনাফার হার কার্যকর থাকবে। এর পরে নতুন মুনাফা হার নির্ধারণ করা হবে, তবে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত যে হার থাকবে, তা বিনিয়োগকারীরা ওই সময়কাল পর্যন্ত পাবেন।
এভাবে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, যা তাদের সঞ্চিত অর্থ থেকে আরও বেশি মুনাফা অর্জনের পথ খুলে দিয়েছে।