দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বার্তা নিয়ে এসেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। লক্ষাধিক নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণের প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন তিনি। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে জানান, “ছাত্র ও যুবকদের জন্য প্রায় লক্ষাধিক নতুন চাকরির ব্যবস্থা করা হবে এবং খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ দেখা যাবে।”
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত রয়েছে। মাহফুজ আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেন, “সরকার এই ইস্যুতে কোনো আপস করবে না। ইতোমধ্যেই সমন্বিত কার্যক্রম শুরু হয়ে গিয়েছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে এবং বিচারের প্রক্রিয়া দ্রুত ও সুষ্ঠু করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।”
মাহফুজ আলম তার পোস্টে দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নানামুখী চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার, এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণে সফলভাবে কাজ করছে।” তিনি আরও সতর্ক করে দেন, “বিদেশি ও দেশি চক্রের একটি শক্তিশালী জোট সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে, কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোকপাত করে মাহফুজ আলম বলেন, “রাষ্ট্রীয় সংস্কার, গণহত্যা ও লুটপাটের বিচার, এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তর আমাদের মূল লক্ষ্য। নির্বাচন যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে এবং জুলাই মাসের সনদ অনুযায়ী নির্বাচনের পূর্বেই রাষ্ট্র সংস্কারের সুস্পষ্ট অগ্রগতি সাধিত হবে। অপহরণকারী, ধর্ষক ও লুটেরাদের বিচার অবশ্যই করা হবে।”
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ঘোষণা অনুযায়ী, সরকার যুব সমাজের জন্য একটি জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, “তরুণ প্রজন্মের জন্য এই পদক্ষেপ একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”
মাহফুজ আলমের এই ঘোষণা দেশের যুব সমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। সরকারের কঠোর পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দেশকে একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সবশেষে তিনি বলেন, “এই সরকারের আমলে দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।”