সম্প্রতি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কঠোর উপস্থিতি বিধি জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এখন থেকে অফিস সময় শেষ হওয়ার আগে অর্থাৎ বিকাল ৫টার পূর্বে কেউই দপ্তর ত্যাগ করতে পারবেন না।
অফিস চলাকালীন দাপ্তরিক বা জরুরি প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বাইরে বের হতে নিজ অনুবিভাগের প্রধানের অনুমতি নিতে হবে।সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯ এর তফসিল অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রক্ষিত অফিস ত্যাগের রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে অফিস ত্যাগ করতে হবে।
গত ২৩ জুন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ (বিচার শাখা-৫) থেকে এ-সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।
বিধিমালায় বলা হয়, সরকারি অফিসে যে কাজ করা যাবে না তা হলো, বিনা অনুমতিতে কর্মে অনুপস্থিতি; বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগ; বিলম্বে অফিসে উপস্থিতি থাকা যাবে না। সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কর্মদিবসে সকাল ৯টার মধ্যে নিজ নিজ দপ্তরে উপস্থিত থাকতে হবে। বর্ণিত নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, অফিস ত্যাগ, বিলম্বে অফিসে উপস্থিত হলে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯ ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিয়ম না মানলে কী শাস্তি হতে পারে, তা-ও বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, সরকারি অফিসে দেরিতে গেলে বেতন কাটা বা ছুটি বাতিল হতে পারে। এছাড়া একাধিকবার দেরি হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী, দেরিতে অফিসে আসার কারণে বেতন কাটা অথবা বরাদ্দকৃত ক্যাজুয়াল লিভ থেকে কর্তন করা হতে পারে।যদি কোনো সরকারি কর্মচারী যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া দেরিতে অফিসে আসেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।একাধিকবার দেরিতে আসলে ৭ দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কেটে নেওয়ার বিধানও রয়েছে।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.