যুক্তরাজ্যের নর্থ ইয়র্কশায়ারের এলারবি গ্রামের বাড়িতে সংস্কারকাজের সময় রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে ২৬৪টি স্বর্ণমুদ্রা পেয়েছিলেন এক দম্পতি। সে সোনার মুদ্রার ভাণ্ডার এবার নিলামে বিক্রি হয়েছে। নিলামে মুদ্রাগুলোর চূড়ান্ত মূল্য উঠেছে সাত লাখ ৫৪ হাজার পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা আট কোটি ৬৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৬২ টাকা।
ব্রিটিশ এক দম্পতি ২০১৯ সালে নিজেদের বাড়ি সংস্কারের সময় এ গুপ্তধন পেয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
রান্নাঘরের মেঝের কংক্রিটের মাত্র ছয় ইঞ্চি খুঁড়তেই পাওয়া গিয়েছিল এগুলো। একটি মুখ বন্ধ ধাতব পাত্রে রাখা ছিল এসব স্বর্ণমুদ্রা। খোদাই করা তারিখ থেকে ধারণা করা যায়, ১৬১০ থেকে ১৭২৭ সালের মধ্যে মুদ্রাগুলো তৈরি করা হয়েছিল।
ওই দম্পতি মেঝে খোঁড়ার সময় ভেবেছিলেন তারা কোনো বৈদ্যুতিক তারে আঘাত করেছেন। কিন্তু মেঝে তুলে ফেলার পর তারা একটি সোডার ক্যানের সমান পাত্র দেখতে পান। যার মধ্যে মুদ্রাগুলো রাখা ছিল।
এসব মুদ্রা তৎকালীন যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে ধনী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হাল পরিবারের সম্পত্তি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে বাড়ির রান্নাঘরের মেঝেতে এসব মুদ্রা পাওয়া গেছে সেটি ১৮ শতকে নির্মিত। ওই দম্পতি বাড়িটিতে ১০ বছর ধরে থাকছেন।
২০১৯ সালে মুদ্রাগুলো পাওয়া গেলেও তারা এটি গোপন রেখেছিলেন। ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদপত্রে নিজেদের নাম-পরিচয় গোপন রেখেই এসব মুদ্রা নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে গত মাসে এ খবর সবার সামনে আসে। তাদের পক্ষ থেকে স্পিংক অ্যান্ড সন নামের একটি নিলাম সংস্থা এই নিলাম পরিচালনা করেছে।
স্পিংক অ্যান্ড সনের মুখপাত্র গ্রেগরি অ্যাডমুন্ড মুদ্রাগুলোর বিক্রয়মূল্যকে ‘একেবারে অসাধারণ’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এ ধরনের নিলাম আমি আর কখনো দেখব না। ‘
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপানসহ সারা বিশ্বের সংগ্রাহকরা মুদ্রাগুলো কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। সবগুলো মুদ্রার দাম উঠেছে ছয় লাখ ২৮ হাজার পাউন্ড। নিলামের ফিসহ চূড়ান্ত মূল্য দাঁড়ায় সাত লাখ ৫৪ হাজার পাউন্ডে।
সূত্র : বিবিসি