অভিনয় থেকে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া নায়িকা পপি অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন। জন্মদিনে নিজের অসমাপ্ত সিনেমা ও নির্মাতাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাও চাইলেন তিনি।
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় থেকে দূরে পপি। সর্বশেষ ২০২২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে একটি ভিডিওবার্তায় তাকে দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকেও তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ বছরের শুরুতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে বিয়ে ও সন্তান নিয়ে প্রকাশ্যে আসেন তিনি। তখন নির্মাতাদের অনেকে আশাবাদী হয়েছিলেন, হয়তো আটকে থাকা সিনেমাগুলোর কাজ আবার শুরু করা যাবে। কিন্তু পপি ছিলেন নিশ্চুপ—সিনেমা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
অবশেষে নীরবতা ভেঙেছেন এই চিত্রনায়িকা। জন্মদিনে (১০ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের অসমাপ্ত কাজগুলো নিয়ে সরাসরি কথা বলেন। পপি বলেন, “দুটি নয়, আমার আরো কয়েকটি সিনেমা আটকে আছে। এর জন্য মন থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমার কারণে নির্মাতারা বিপাকে পড়েছেন।কিন্তু জীবনের সব সিদ্ধান্ত সব সময় নিজের হাতে থাকে না। মনের অজান্তে কিংবা পরিস্থিতির কারণে এই গ্যাপটা তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন,“ইচ্ছাকৃতভাবে কাজগুলো আটকে যায়নি। আমি কাউকে কোনো দিন বিপদে ফেলিনি, কারো ক্ষতি করিনি। ইচ্ছে আছে, যদি সুযোগ মেলে, অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করে দেব। না হলে নির্মাতাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই। তারা যেন ভুল না বোঝেন, আমাকে যেন মাফ করে দেন।”
এদিকে অভিনয়ে ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন পপি। তবে সিনেমা প্রযোজনার প্রতি তার আগ্রহ রয়েছে। অতীতেও প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি, যদিও নতুন কোনো প্রযোজনার বিষয় এখনো চূড়ান্ত নয়।
পপির আড়ালে চলে যাওয়ার কারণে থমকে আছে ‘ভালোবাসার প্রজাপতি’,‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ।