শখের বশে ছাগল পালন এখন বাণিজ্যিক রূপ ধারন করেছে। আর্থিক স্বচ্ছলতার করণে বেশিদূর পড়াশোনা করতে না পারলেও ছাগল পালনে তার ভগ্য বদলে গেছে।
বর্তমানে ১৫ লাখেরও বেশী মূল্যের বড়সড় এক খামারের মালিক তিনি। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা সদরের শিবলী নোমান ছাগলের খামার করে সফল হয়েছেন।
শিবলী নোমান হাকিমপুর উপজেলা সদরের দক্ষিণবাসুদেবপুরের বাসিন্দা। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে এসএসসি এর বেশি পড়াশোনা করতে পারেননি। পরে ডিসের ব্যবসা করলেও তাতে কোনো আয় হয়নি। তাই শখের বশে ২টি ছাগল পালন শুরু করেন। তার খামারের পালিত ছাগলের বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। বর্তমানে তার খামারে দেশী ও বিদেশী প্রজাতির ছাগলের সংখ্যা ১০০টি।
খামারি নোমান বলেন, আমি প্রথম শখের বশে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দুটি ছাগল কিনে লালন-পালন শুরু করি। এক বছরের মধ্যে ছাগল দুটি ৬ মাস পর পর দুটি করে মোট ৮টি বাচ্চা দেয়। ছাগলগুলো ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করি। তারপর সিদ্ধান্ত নেই খামার করবো। এরপর এখন আমার খামারে ১০০টি ছাগল রয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে একটি করে যমুনাপাড়ি, তোজাপাড়ি, হরিয়ান ও ব্লাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল ক্রয় করে মাচং পদ্ধতিতে খামার গড়ে তুলি।
তিনি আরও বলেন, বাড়ির পাশে ঘাসের চাষ করেছি। ছাগলগুলো সেই ঘাস খেয়েই বড় হয়। এছাড়াও গম, ভুট্টা ও ছোলা বুটের গুড়ো সেই সাথে সয়াবিন ও খড়ের ছানি। যা ছাগলের জন্য খুবই পুষ্টিকর। ছাগলের রোগ বালাইও কম। বছরে একবার পিপিআর, গডপক্স ভ্যাকসিন দিলেই কোন প্রকার ওষধ লাগেনা। তাই অল্প খরচে বেশী আয় করা সম্ভব।