পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে (বাউফল ও দশমিনা) ২নং সংরক্ষিত আসনের সদস্য প্রার্থী মোসা. রুবিনা আক্তার পরাজিত হওয়ার পর ভোটারদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি পোস্ট করলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার বাউফল উপজেলার বকুলতলা বাজারে রাত ১০টার দিকে একজন ইউপি সদস্য রুবিনা আক্তারকে ভোট দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত আনতে গেলে রুবিনা আক্তারের সঙ্গে ইউপি সদস্যের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় রুবিনা আক্তারকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে ভিডিওতে তিনি অভিযোগ করেন।
মোসা. রুবিনা আক্তার দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম জোমাদ্দারের দ্বিতীয় স্ত্রী।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বাউফল ও দশমিনা উপজেলার সংরক্ষিত নারী আসনের মোট ৪ জন প্রার্থী ছিলেন। যাদের মধ্যে কামরুন নাহার দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ১৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পশরী রানী হরিণ মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ১২০ ভোট।
ভোটের আগে ভোটারদের টাকা দিলেও ফুটবল প্রতীকের রুবিনা আক্তার পেয়েছেন ৩৬ ভোট। এছাড়া আরেকজন প্রার্থী মিসেস ফাতেমা আলম কোনো ভোটই পাননি।
রুবিনা আক্তার বলেন, আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ২ হাজার করে টাকা দিয়েছি। তারা টাকা নেওয়ার সময় আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে আপা আপনি মন খারাপ করিয়েন না আমরা আপনাকেই ভোটটা দিব, আপনি যেহেতু আমাদের নাস্তা খাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন এতেই আমরা খুশি। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরেও তারা আমাকে একটা ভোটও দেননি।
রুবিনা আক্তার আরও জানান, দাসপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য আনিসুর রহমানের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অবশ্য টাকা ফেরত দিয়েছে কিন্তু তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে এবং লাঞ্ছিত করেছে।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল যুগান্তরকে বলেন, টাকা দেওয়া এবং নেওয়া দুটোই অপরাধ। এ বিষয় নিজে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৩ ভোটের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত আনারস প্রতীকের খলিলুর রহমান মোহন পেয়েছেন ৪৮৬ ভোট।