দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ জন্মদিন ছিল ১২ অক্টোবর। এদিন একের পর এক কেক কাটা চলছে। ভক্ত, সহকর্মীদের শুভকামনার মধ্যে দিনটা আরও বেশি রাঙিয়ে তোলে একটি বিশেষ একটি ফোনকল।
যেখানে সবাই ফোন দিয়ে বলছেন, ‘শুভ জন্মদিন।’ সেখানে বিশেষ ফোনটি দিয়ে ওপাশ থেকে একজন বলেন, ‘আপনাকে একটি সিনেমার চিত্রনাট্য পাঠিয়েছি, দেখেন আপনার পছন্দ হয় কি না?’ শর্ত আজই জানাতে হবে। চিত্রনাট্য পড়ে জন্মদিনে অবাক হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
চিত্রনাট্য পড়ে ‘হ্যাঁ’ বলতে হয় মৌসুমী হামিদকে। এভাবেই এই অভিনেত্রী নাম লিখিয়েছেন ‘নয়া মানুষ’ সিনেমায়।
মৌসুমী বলেন, ‘এই গল্পগুলোতে যে আমাকে ভাবা হয়, সেই জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে সব ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করতে চাই। মজার ব্যাপার হচ্ছে হঠাৎ জন্মদিনে চিত্রনাট্য পেয়েছিলাম। সেটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছিল সুজলা চরিত্রটি আমাকে করতে হবে। একটা ঘোরে মধ্যে ছিলাম। শুধু মনে হচ্ছিল এই গল্প আমাকে করতেই হবে। একই সঙ্গে চিত্রনাট্য পেয়ে জন্মদিনে আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। চিত্রনাট্য পড়েই “হ্যাঁ” বলে দিয়েছি।’
‘নয়া মানুষ’-এ সুজলা চরিত্রে দেখা যাবে মৌসুমী হামিদকে। তবে চরিত্রে প্রবেশের জন্য অনেকাংশে নির্ভর করতে হচ্ছে নির্মাতার ওপর। কারণ জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘এই সিনেমাটির অফার আমার কাছে একেবারেই হুট করে আসে। তারপর প্রস্তুতি নেয়ার জন্য খুব বেশি সময় পাইনি। আমি সাধারণত সিনেমার শুটিংয়ের আগে কিছুদিন সময় নিই, চরিত্রটা নিজের মধ্যে লালন করি। তারপর শুটিংয়ে যাই। কিন্তু এবার সেই সুযোগ হয়নি না। তাই নির্মাতার সহযোগিতাই এখন ভরসা।’
‘নয়া মানুষ’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সোহেল রানা বয়াতি। নির্মাতা জানালেন, নদীর ভাঙা-গড়ার কারণে চর জাগে, চর ডোবে। একইসঙ্গে ভাসমান মানুষের ঠিকানাও বদলায়। সোহেল রানা বয়াতির ভাষ্য, ‘ভাসতে ভাসতে মানুষ এক চর থেকে আরেক চরে চলে যায়। নতুন মানুষ চরে এলে তাদের কীরকম সংকট বা সমস্যার সৃষ্টি হয়, সেটা নিয়েই গল্প। এটার মধ্যে প্রেম, প্রকৃতি, ভালোবাসা ও জীবনদর্শনের বিষয়ও থাকছে।’
টানা চিত্রায়নে শেষ হবে ‘নয়া মানুষ’-এর শুটিং। আগামী ২৯ অক্টোবর নাগাদ শুটিং সেরে তারা ফিরবেন ঢাকায়। এরপর এ বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।