বেশ কাটছে তাঁদের দিনগুলো। যদিও তাঁদের স্বপ্নের আশিয়ানা এখনও পূর্ণ রূপ পায়নি। কিছু কাজ এখনও বাকি। তবে তাঁরা দিব্যি কাটাচ্ছেন দিনগুলো। একে অপরের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে, গল্প করে জীবন কাটাচ্ছেন স্বপ্নের মত।
এটাই তো তাঁরা চেয়েছিলেন। শহরের ভিড় থেকে অনেক দূরে যেখানে দূর দূর পর্যন্ত মানুষ থাকেনা, এমন একটা জায়গায় তাঁরা ঘর বাঁধবেন। সেটাই করেও দেখিয়েছেন তাঁরা।
মরুভূমিতে জমি কিনে সেখানে তৈরি করেছেন নিজেদের থাকার বাড়ি। অনেকটা তাঁবুর মত দেখতে। তবে প্রবল গরম থেকে বাঁচতে সেখানে এসি আছে। আছে গরম থেকে ঘরকে রক্ষা করার অন্য উপায়ও।
বাড়ির পুরো বিদ্যুৎটা তাঁরা নিজেরা সোলার প্যানেল বসিয়ে সেখান থেকে পান। মরুভূমিতে এই সূর্যালোকের অবশ্য অভাব নেই। সেই সূর্যালোক থেকে তৈরি বিদ্যুতেই আলো, এসি, পাখা সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম দিব্যি চলছে। তাঁরা জলের জন্য অতিকায় একটি ট্যাঙ্ক বসিয়েছেন বাড়ির পাশে। সেখানে একবার জল এনে ভরলে অনেকদিন তাঁদের চলে যায়।
গৃহকর্ত্রী হুইটনি এখন ৩৩ বছরের যুবতী। তাঁর স্বামী ২৬ বছরের ট্রেন্ট ও তাঁর ইচ্ছা খুব মিলে যায়। তাঁরা স্থির করেছেন যতটা সম্ভব শহর থেকে দূরে একাকী জীবন কাটাতে।
এমনকি জীবনে বেঁচে থাকার প্রয়োজনগুলোও তাঁরা তাঁদের এই স্বপ্নের আশিয়ানাতেই মিটিয়ে নিতে চান। যেমন আনাজের জন্য তাঁরা বাড়ির পাশেই মরু অঞ্চলেই একটি গ্রিন হাউস বানানোর পরিকল্পনা করেছেন। বাড়িতে রান্নাবান্নার জন্য জ্বালানির প্রয়োজন। সেজন্য তাঁরা নিজেদের ম;ল;কে কাজে লাগাচ্ছেন।
ম;লত্যা;গের পর তা জমিয়ে তার সঙ্গে আনাজপাতির খোসা মিশিয়ে তা পচিয়ে তৈরি করছেন বিশেষ ধরনের গ্যাস। যাতে দিব্যি তাঁদের স্টোভ জ্বলছে। যাতে রান্নাও হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের বাসিন্দা এই দম্পতি ২০২০ সালেই ক্যালিফোর্নিয়ার জোসুয়া ট্রি ন্যাশনাল পার্কের জোড়া মরুভূমির শুকনো প্রান্তরে থাকা শুরু করেন। সেখানেই এখনও সুখে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।