চিরকুমার থাকার ব্রত নিয়ে মারজুক রাসেল গড়ে তোলে ‘চিরকুমার সংঘ’। এই সংঘের উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন লাভলু। কিন্তু শেষ বয়সের দুশ্চিন্তায় হুট করেই বিয়ে করে বসে সে। অন্যদিকে শরাফ আহমেদ জীবন একসময় স্ত্রীর যন্ত্রণায় নিজেকে চিরকুমার ঘোষণা করে। আর তাদের সমান্তরালে এগিয়ে চলা রহস্যময়ী এক নারীর চরিত্রে ফারিয়া শাহরিন।
আজ থেকে এনটিভিতে প্রচার শুরু হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক ‘চিরকুমার’। এতে চিরকুমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল। আমরণ চিরকুমার থাকার ব্রত নেয় সে। গড়ে তোলে ‘চিরকুমার সংঘ’। এই সংঘের উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন লাভলু। কিন্তু শেষ বয়সের দুশ্চিন্তায় হুট করেই বিয়ে করে বসে সে। এ ঘটনায় মর্মাহত হয়ে পড়ে সবাই।
অন্যদিকে শরাফ আহমেদ জীবন একসময় স্ত্রীর যন্ত্রণায় নিজেকে চিরকুমার ঘোষণা করে। আর তাদের সমান্তরালে এগিয়ে চলে রহস্যময়ী এক নারী চরিত্র। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারিয়া শাহরিন। এরই মধ্যে নাটকটির পোস্টার ও টিজার বেশ আলোচিত হয়েছে।
কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার হাতে নিয়ে দেশে ফিরেছেন ফারিয়া শাহরিন। এসেই কাজে ফিরেছেন।ধারাবাহিকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে ফারিয়া শাহরিন বলেন, ‘এই ধারাবাহিকে আমি একজন রহস্যময়ী নারী। দর্শক বুঝতে পারবে না আমি কেন, কী করছি। এই চমকটা থাকবে লম্বা সময় পর্যন্ত। তাই এখনই চরিত্রটি সম্পর্কে বিশদ বলা যাচ্ছে না। দর্শকদের জন্য চমকটা থাকুক। আমার বিশ্বাস, ভালো লাগবে দর্শকদের।’
নির্দেশকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফারিয়া বলেন, ‘তুহিন হোসেনের নির্দেশনায় এর আগে দুটি একক নাটকে অভিনয় করেছি। ধারাবাহিকে এবারই প্রথম। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। তাই অনেক দিন পর নতুন কোনো ধারাবাহিকে তাঁর নির্দেশনায় কাজ করলাম।’
আজ থেকে প্রতি সোম, মঙ্গল ও বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এনটিভির পর্দায় প্রচার হবে ধারাবাহিকটি। এটি রচনা করেছেন গোলাম রব্বানী। ২০০৮ সালের ভালোবাসা দিবসে গোলাম রব্বানীর রচনায় প্রচার হয়েছিল টেলিফিল্ম ‘চিরকুমার সংঘ’। মুহাম্মদ মোস্তাফা কামাল রাজের নির্দেশনায় টেলিফিল্মটির মূল চরিত্রে ছিলেন আরিফিন শুভ। সঙ্গে ছিলেন হাসান মাসুদ, কচি খন্দকার, সোহেল খান, নাফিজা জাহান, সুমাইয়া শিমু প্রমুখ। টেলিফিল্মটি তখন বেশ জনপ্রিয় হয়। সেই রেশ ধরেই এবার তৈরি হলো ধারাবাহিক ‘চিরকুমার’। এতে আরও অভিনয় করেছেন নাইমা আলম মাহা, আরশ খান, ফরহাদ লিমন প্রমুখ।
নির্মাতা তুহিন হোসেন বলেন, ‘অনেকেই নিজের মতো একা থাকতে চাইলেও সামাজিক ও অন্যান্য কারণে তা হয়ে ওঠে না। নাটকে এই বিষয়টিই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। চিরকুমারদের জীবনের মজার সব ঘটনা, ঘাত-প্রতিঘাতের গল্প নিয়ে এগিয়ে যাবে গল্প। নাটকটিতে ফারিয়াসহ প্রত্যেকেই অসাধারণ অভিনয় করেছেন। নির্মাতা হিসেবে আমি তৃপ্ত।’