একটি মহিষের দাম সাড়ে ১২ কোটি টাকা, তার নিরাপত্তায় আবার ১২ জন ব;ন্দু;কধারী! অবাক লাগছে, তাই না? অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এমনই ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের মোরেনা জেলায়।
জানা যায়, শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) মোরেনায় শুরু হয় তিনদিনের কৃষক মেলা। সেখানে হরিয়ানা থেকে নিজের পোষা দেড় টন বা দেড় হাজার কেজি ওজনের মহিষ গোলু-২কে নিয়ে যান নবীন সিং নামের এক ব্যক্তি। এরপরই মেলার মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে মহিষটি। এটির দাম হাঁকা হয় ১০ কোটি রুপি বা বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে ১২ কোটি (১ রুপি=১.২৫ টাকা হিসাবে)।
মহিষটির নামকরণের বিষয়ে নবীন সিং জানান, গোলু- ১ নামের একটি মহিষ ছিল তার। সেটি থেকে জন্ম নেয় গোলু-২ এর বাবাসহ আরও দুটি মহিষ। দাদার নামানুসারেই এটির নাম রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গোলুর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় ১২ জন বন্ধুকধারী নিয়োজিত আছেন। গোলুকে যখন কৃষক মেলায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন স্থানীয় প্রশাসন মহিষটির নিরাপত্তায় আলাদা করে তিন পুলিশ সদস্যকে নিয়োগ দেয়।
গোলুর খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে নবীন জানান, দিনের শুরুতেই এটিকে ১০ কেজি ভুসি খাওয়ানো হয়। তার ঠিক দেড় ঘণ্টা পরে দেশি ঘি মেশানো সাত লিটার দুধ খায় সে। সারাদিনে ২০ লিটার দুধ খাওয়ানো হয় গোলুকে। দুধ খাওয়ানোর পর মহিষটিকে কিছুক্ষণ রোদে বেঁধে রাখা হয়।
পরে শুধু মহিষদের জন্য বানানো আড়াই হাজার বর্গফুটের একটি সুইমিংপুলে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা ধরে গোসল করানো হয় গোলুকে। দুপুরে ঘাসের সঙ্গে ১৫ কেজি ভুসি মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এর ঠিক দুই ঘণ্টা পর আবারও ১৫ কেজি ভুসি দেওয়া হয় গোলুকে। তাছাড়া গাজর, বাতাবি লেবু বা মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল খেতে দেওয়া হয় তাকে।
খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য দিক ধরে দিনে ১০ হাজার রুপি হিসাবে মাসে ৩ লাখ রুপি খরচ করতে হয় গোলুর পেছনে।
নবীনের আরও বলেন, গোলুকে আমি সব পশু মেলায় নিয়ে যাই, ও আমার সন্তানের মতো। মেলায় নিয়ে গেলেও গোলুকে বিক্রি করার ইচ্ছা নেই।
বাজারে গোলুর বী;র্যের প্রচুর চাহিদা বলে দাবি নবীনের। মহিষটি থেকে একবারে এক হাজার-দুই হাজার ইউনিট বী;র্য নিষ্কাশন করা হয়। প্রতি ইউনিট বী;র্য ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। বী;র্য বিক্রি করেই প্রতি মাসে ১২ লাখ টাকা আয় হয় বলে জানান নবীন।
সূত্র: ইন্ডিয়া পোস্টস ইংলিশ