‘যখন খুব অল্প বয়স ছিল, দিনে ৫০-১০০ জন গ্রাহককে পরিষেবা দিতাম। স্থির করেছিলাম যে, অবসরের আগে এই সংখ্যাটা পাঁচ লাখে নিয়ে যাবো।’—কথাগুলো আমেরিকার নেভাডার বাসিন্দা বিয়ারট্রিয় থমসনের। তিনি সারাজীবন নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ৫ লাখ গ্রাহককে পরিষেবা দিয়ে ছোটবেলার ইচ্ছেও পূরণ করেছেন তিনি।
দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে যৌ;ন পেশায় লি;প্ত তিনি। পাঁচ লাখের বেশি গ্রাহক পরিষেবা নিয়েছে তার কাছ থেকে। আসল নাম বিয়ারট্রিয় থমসন হলেও, অন্ধকার জগতে তিনি বিয়ারট্রিয় থ্রি ডলার থমসন নামে পরিচিত।
খুব অল্প বয়সেই এই পেশায় যোগদান করেন বিয়ারট্রিয় থমসন। এখনো পর্যন্ত পরিষেবা দিয়েছেন প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহককে। আর এই শুনেই অবাক নেটিজেনরা। কোনো তারকা আজ পর্যন্ত পাঁচ লাখ মানুষের সঙ্গে স;ঙ্গ;ম করেছেন, এমনটা জানা যায় না।
শুরুতে মাত্র তিন ডলারের বিনিময়ে পরিষেবা দিতেন বিয়ারট্রিয় থমসন। তখন গ্রাহক সংখ্যা জুটত মাত্র চার থেকে পাঁচজন। তখনই বিয়ারট্রিয় ঠিক করেন এই সংখ্যা একদিন পাঁচ লক্ষে পৌঁছে দেবেন তিনি। শেষমেশ তাতে সফল হন বিয়ারট্রিয়।
এক সাক্ষাৎকারে বিয়ারট্রিয় জানান, “একটু কম পরিচিত ছিলাম এই পেশায়, ফলে এই লক্ষ্যপূরণে আরও বেশ কয়েক বছর অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে।” ১৯৬৯ থেকে ১৯৯৩ এর মধ্যে প্রায় ১৭ বার সেরা যৌ;ন;ক;র্মীর তকমা পান তিনি। নেভাডা যৌ;ন;ক;র্মী; সংগঠন দ্বারা ২০১১ সালে বিয়ারট্রিয় লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ভূষিত হন।
সব গ্রাহকের বয়স এবং তাদের থেকে প্রাপ্ত টাকার হিসেব রয়েছে তার কাছে। এই তালিকায় রয়েছেন আমেরিকার চারজন প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত। এমনকি বিয়ারট্রিয়ের পরিষেবা পাওয়ার জন্যে সুদূর জার্মান থেকে ৮ হাজার ৭০০ কিমি পেরিয়ে আসেন এক গ্রাহক।
বলাই বাহুল্য, বিয়ারট্রিয় বিশ্বব্যাপী চেনা নাম। নিজের খ্যাতি তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশ দেশান্তরে। নিজের কৃতিত্ব নথিভুক্ত করার জন্যে গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে যোগাযোগ করেন বিয়ারট্রিয়।