আমার হ্যাল্পিং হ্যান্ড (নাম না বললাম) সে এখন নাই (প্রায় ২ বছর)। ২১ বছরের মেয়ে, ৮/৯ বছর আমার সাথেই ছিলো, আমার সাথে শুটিং এও যাওয়া আসা করতো, সে বুঝে না বুঝে আমাকে তার আইডিতে যুক্ত করলো, মানে আমি মাঝে-মাঝেই, মিডিয়া রিলেটেড চেনা লাগে বা কাজ করে এমন অনেককেই অনুরোধ পাঠাই, তাকেও ছোট ছবি দেখে ২৫০ মিইচুয়াল দেখে অনুরোধ পাঠালাম, তার ৬০ হাজার ফলোয়ার। কিছুটা চেনা -চেনাও লাগছে, নাম (……..) প্রফাইলে লেখা- ওয়ার্ক: বি-এফডিসি, বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্রম ঢাকা গুলশান।
আমি যুক্ত করার পরে তার প্রফাইল ছবি দেখেই একটু অবাক যে এমন একটা শাড়ীতো আমার ছিলো, পাকিস্তান থেকে আনা, হোসেন এর ছবির জন্য আমি আনছি, রাজ্জাক ভাই, আমি, বাপ্পি হিরো, i Don’t care নাম মনে হয় ছবির। যদিও তা দেখে ভালো করে চিনিনি, কারন মুখ খুব একটা চেনা মনে হয় নি, তবে চেনা চেনা লাগছে। তার লেখা দেখলাম।
সব বিষয়ে তার লেখা আবার ইংরেজিতেও লেখা। মানে এক বিশাল কাহিনী। একটু নিচে যেতেই আমার আর শান্তি নাই, হাজার এর উপর ছবি, সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত তার ছবি দেখলাম আর ভাবলাম, আমার এত্তো পোশাক ইস্ত্রি করতে ৬/৭ দিন লাগতো কেন? আমার পোশাক মাঝে- মাঝে গায়েব হয়ে যেতো কই? আবার অনেক সময় অনেকে বলতো আপা আপনার ছোট মেয়েকে নায়িকা বানাবো, সে নায়িকা হতে চায় আপনার ভয়ে বলে না, আমি চুপ থাকতাম যে ওর মা নেই। আবার আমার একমাত্র মেয়ে সে আমেরিকা থাকে। ও আমার মেয়ে।
মানে ওর পোশাক, চেহারা দেখে (হ্যাল্পিং হ্যান্ড) বুঝার উপায় নেই বা আমি উপায় রাখি নি। সেও আমার অসম্ভব যত্ন আদর করতো, তবে শেষ মুহুর্তে এই নায়িকা হওয়ার পাল্লায় সে অন্যরকম হয়, তাও এফডিসির কারো ফাঁদে পরে। যদিও এখন মনে হচ্ছে তার ফাদেই এফডিসির মানুষ পরেছে।
আমার বাসায় যতো “হিরো” আসতো সবার সাথে তার ছবি, (হিরো- দ্যা -সুপারস্টার) ছবিতে “শাকিবের” সাথে অনেক ছবি আমি শুটিং এ নিয়ে গেছি । আর তা দিয়ে লেখেছে, নতুন ছবির আলোচনা, উয়িথ বন্ধু, শাকিব খান পারিবারিক বন্ধু। এফ-ডি-সি র অনেকের সাথে অনেক রকম ছবি।
তার চেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, আমার ছবির সামনে- আমার বাসায় আমার সাথে ছবি তুলে লেখেছে, “নতূন” আপাকে আজ আমার বাসায় নিয়ে এলাম, সে অবাক যে তার ছবি আমার দেয়ালে, আপা অনেক ভালো মানুষ। আমি কোন জগৎ এ আছি তাই ভাবছি।
তবে, আবার এটা ভেবে ভালো লাগছে যে মিথ্যা আর সত্য যাই হোক স্বপ্ন থাকলে মানুষ অনেকভাবেই তা সফল করতে চায় ইচ্ছা থাকলে তা করা সম্ভব, সে ধনী হোক বা গরিব হোক, তার নায়িকা হওয়ায় সংবাদ ও পেলাম ভালো একজন নতুন নায়ক এর সাথে।
তোমার প্রতি আমার রাগ নেই, তুমি নায়িকা হও আমি দোয়া করি, আর যে যুগ- এ যুগে যে কোন কারো ভালোবাসায় নায়িকা হয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু না- আর নায়িকা হয়ে ভাইরাল, হিট তাও অবাক করা বিষয় না। তবে, এই লেখা কোন ভাবে তার কাছে পৌছাবে। তাই বললাম। কারন ম্যাসেজ দেয়ার কিছুক্ষণ পরেই সে আমাকে ব্লক করে দিয়েছে। তবে ভয় লাগে কোনদিন আবার বাসায় এসে বলে আপা। আপনি আমার ছবি তে কাজ করবেন?
মেধা ভালো- কাজে লাগাও- কাজে লাগবে, তবে মেধাকে এমনভাবে মিথ্যা, ব্যাবহার করো না। যা তোমার বাকি জীবন টা দুঃর্বিসহ করে দিবে। তবে ভালো খারাপ যাই হোক আমি তোমায়, আমার আপন মানুষ মেয়ে-হিসেবেই ভাবি।
কাজের মেয়ে অন্যভাবে বলি নি, লেখার যথার্থতা বোঝাতে লেখা। তোমার জন্য আমার শুভকামনা। তোমার ছবি হলে গেলে সবচেয়ে খুশি আমি হবো, আমি তা দেখতেও যাবো।
চিত্রনায়িকা নূতনের ফেসবুক আইডি থেকে থেকে সংগৃহীত