ইতালির এক সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছে। দীর্ঘ গবেষণার পর যে তথ্য সামনে এল, তা জানার পর চোখ কপালে উঠবে অনেকেরই। বিশেষত যাদের প্রতিনিয়ত প;র্ন দেখার অভ্যাস আছে, ‘প;র্ন না দেখলে যাদের ঘুম আসে না’, তাদের জন্য এই গবেষণার ফল বিশেষ চিন্তার।
‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ঐ গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মাত্রা;রিক্ত প;র্ন দেখার ফলে প;র্নে আসক্ত ব্যক্তি ক্রমশ ‘সেক্সুয়াল অ্যানোরেক্সিয়া’র দিকে ঝুঁকতে পারেন। সোজা ভাবে যাকে বলা হয় যৌ;ন অনাক্রম্যতা। তাছাড়াও হতে পারে উদ্বেগ ব্যাধিও।
তবে অনেক চিকিৎসকেই মনে করছেন এই গবেষণা একপেশে এবং এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। গবেষক ড. নিকোল প্রস যেমন বলছেন প;র্ন দেখার কারণে স্বাভাবিক যৌ;ন;তায় কোনও রকম সমস্যা হওয়ার কিছু নেই। কানাডার একটি গবেষণার দাবি, যারা তুলনায় বেশি প;র্ন দেখতে পছন্দ করেন তাদের মধ্যে লিঙ্গ সাম্যতার বিষয়টি বেশি করে কাজ করে।
শুধু তাই নয় ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ঐ গবেষণায় এও বলা হয়, যারা প;র্ন দেখতে পছন্দ করেন তাদের মধ্যে যৌ;ন হিংসার বিষয়টিও তুলনায় কম কাজ করে, অন্যদের ক্ষেত্রে যেটা ভয়াল রূপ ধারণ করলেও করতে পারে। আবার এই মতের উল্টো দিকও দেখিয়েছেন অনেকে।
গবেষকদের কেউ কেউ বলছেন, যে পুরুষরা ‘হার্ডকোর প;র্ন;’ দেখতে অভ্যস্ত তাদের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য মূলক আচরণেরও প্রভাব বিস্তার করে।
প;র্ন কী নেশা, আসক্তি তৈরি করে?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে গবেষণা যে ফলাফলে এসে উপনীত হয়েছে সেখানে প;র্ন দেখাকে প্রাথমিকভাবে আসক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে গবেষনাও এও বলা হয়েছে প;র্নের আসক্তি কখনই মাদকাসক্তের মত বিষয় নয়। প;;র্ন দেখার বিষয়ে কখনোই কোনো স্পষ্ট ‘রোগ নিদান’দেওয়াও সম্ভব নয়।
তবে হ্যাঁ, যদি এই প;;র্ন দেখার বিষয় প্রতিনিয়ত কাজে প্রভাব ফেলে, ব্যবহারিক আচরণে প্রভাব ফেলে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়া উচিত বলে মনে করেন গবেষকরা।
সূত্র: জিনিউজ