ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী রুনা খান। বছরজুড়ে কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। ২০০৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরের বছরই ঘর আলো করে জন্ম নেয় কন্যা রাজেশ্বরী। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে রুনার ওজন। ৫৬ কেজি থেকে তা গিয়ে দাঁড়ায় ১০৫ কেজিতে। কিন্তু চলতি বছরে শারীরিকভাবে দারুণ পরিবর্তন এনে চমকে দেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। তার ফিটনেস ও চেহারায় আশ্চর্যজনক পরিবর্তন সত্যিই নজর কেড়েছে। রুনা খানের ছবিটি নিয়ে ভক্তরা পাগল হয়ে যাচ্ছেন। যেন সদ্য তারুণ্য লেগেছে রুনা খানের শরীরে।
২০১১ সালে ওজন কমানের যাত্রা শুরু করেন রুনা খান। কিন্তু এই মিশন মোটেও সহজ ছিল না। কারণ এক পা এগিয়ে দুই পিছিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাই বেশি ঘটেছে। ধানমন্ডির একাধিক জিমে অন্তত ১০ বার ভর্তি হয়েছেন রুনা খান। ভারতীয় কালচারাল সেন্টারে ভর্তি হয়েছেন ৫-৭ বার। উইমেন্স কমপ্লেক্স সুইমিংয়ে কয়েকবার ভর্তি হয়েছেন। অ্যারোবিকসেও ভর্তি হয়েছিলেন রুনা। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়।
বাসায় ট্রেডমিল, সাইকেলসহ ওজন কমানোর নানা যন্ত্রপাতিও কিনেন রুনা খান। ১০ বছরে ওজন কমানোর অনেক চেষ্টা করেন তিনি। তার বাসার একটি ফ্রিজে ডায়েটের খাবারে ভরা থাকত। কিন্তু তারপরও কিছুই হচ্ছিল না রুনার দীর্ঘ দিন নানাভাবে চেষ্টা করেও ওজন কমাতে ব্যর্থ হন রুনা। ২০১৯ সালে এসে রুনা উপলদ্ধি করতে পারেন নানারকম মানসিক যন্ত্রণার কারণে মূল কাজে ফোকাস করতে পারছেন না তিনি। ততদিনে তার ওজন বেড়ে হয়েছে ১০৫ কেজি। তারপর টক্সিক মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। যাদের তথাকথিত বন্ধু ভাবতেন, তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসেন এই অভিনেত্রী।
এতবার ব্যর্থ হয়েও ওজন কমানোর জন্য কাউকে অনুপ্রেরণা হিসেবে মনে করেননি রুনা খান। নিজের জন্যই নিজে কাজটি করেন। এক বছরের পরিশ্রমে রুনা ৩৯ কেজি ওজন কমাতে সমর্থ হনএই এক বছরে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রেখেছিলেন— সকালে দুটি ডিম; এরপর যেকোনো ফল খেতেন। তারপর ব্ল্যাক কফি খেয়ে এক ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করতেন তিনি
ওজন কমাতে রুনা খান প্রতিদিন দুপুরে এক কাপ ভাত, সঙ্গে এক বাটি সবজি, বড় এক টুকরা মাংস অথবা মাছ খেয়েছেন তিনি। আর প্রতিদিন রাতে খেতেন বড় এক বাটি সবজি, এক টুকরা মাছ বা মুরগির মাংস ও এক গ্লাস দুধ।
চলতি বছরের শেষের দিকে নতুন লুকে একাধিক ফটোশুট করান রুনা খান। যা প্রকাশ্যে আসার পর চমকে যায় তার ভক্তরা। তার এই পরিবর্তন নিয়ে আলোচনাও কম হয়নি