ব্যাট বল থেকে ছুটি নিলেও এখনো তিনি ক্রিকেট দুনিয়ার মানুষ। খেলা ধুলো থেকে বিরতি নিলেও ক্রিকেট জগতের থেকে মুক্তি পাননি তিনি। খেলা ছেড়ে দিলেও বহুদিন ধরে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি।
তবে মহারাজের তারিফ যতই করা হোক না কেন প্রতিবারই যেন কম হয়ে যায়। তার প্রতিভার কোন তুলনা হয় না। তবে বঙ্গসন্তান সৌরভ গাঙ্গুলী কখনোই তার সাফল্য নিয়ে অহংকার করেন নি বরং গর্ব করেছেন BCCI President, তাইতো তিনি নিজের জায়গা ধরে রেখেও সকলের সাথে মিশে যান অনায়াসে। আর মহারাজের এইরকম ব্যবহারের কারণেই হয়তো বাংলার মানুষের একটু বেশিই টান তার প্রতি।
শুধুমাত্র দক্ষ ক্রিকেটার হিসেবেই নয় , খুব ভালোভাবে সঞ্চালকের কাজ ও পরিচালনা করেছেন তিনি। জি বাংলায় দাদাগিরি শো টিও পরিচালনা করতে দেখা যায় তাকে। এক কথায় দাদাগিরিতে দাদাকে ছাড়া শো টি যেন অচল।
কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে দাদাগিরি সিজেন ৯। এই মঞ্চে আসেন বুহু প্রতিভাবান মানুষ যাদের প্রতিভাকে যথেষ্ট সম্মান দেন ক্রিকেটার মহারাজ। এবং অনেকেই এই মঞ্চে দাদার জন্য অনেক কিছু উপহার আনে বা তাদের প্রতিভা দিয়ে মন জয় করে নেয় দাদার। ঠিক এইরকমই বাঁকুড়ার এক যুবক শালপাতায় দাদার প্রতিচ্ছবি এঁকে যেরকম তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোটা বাংলাকে ঠিক সেই রকমই মন জয় করে নিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলীর।
বিষ্ণুপুরের জয়পুর ব্লকের দিগপাড়া গ্রামের ২২ বছরের যুবক রুপম রায় শালপাতার মধ্যে ব্লেড দিয়ে সূক্ষ্মভাবে কেটে এঁকেছেন দাদার প্রতিচ্ছবি। স্নাতক পাস করেছে রুপম। অর্থাভাবে কারণে পড়াশোনা করতে না পারলেও সে জীবনে এগিয়ে গেছে তারা আঁকি-বুকি প্রতিভা নিয়ে। ছোটবেলা থেকে আঁকতে ভালোবাসতেন রুপম।
এবং পরবর্তীকালে সে এই পথ থেকে বেছে নিয়ে এগিয়ে যায়। বছর খানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তার বেশ কিছু কারুকার্য যেখানে দেখা যায় শালপাতার মধ্যে দুর্গা লক্ষ্মী গণেশের ছবি। এই ভাবেই ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয় ছেলেটি।
সে জানায় তার প্রিয় ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী। তার পছন্দের ক্রিকেটার যখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হন তখন সে তার পরবর্তী কারুকার্য শুরু করেন দাদাকে নিয়ে। শালপাতা কুড়িয়ে এনে ব্লেড দিয়ে সূক্ষ্মভাবে কেটে কেটে শালপাতার মধ্যে নিজের পছন্দের ক্রিকেটারের মুখটি ফুটিয়ে তোলেন এবং সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি এবং ছবিটি দৃষ্টি আকর্ষণ করে উল্লেখযোগ্য বোর্ড সচিব অভিষেক ডালমিয়ার। তারপর অভিষেক ডালমিয়া নিজেই তাকে মেসেজ করে কলকাতায় আসার জন্য জানায় এবং তাকে নিয়ে যায় সৌরভ গাঙ্গুলীর সাথে সাক্ষাৎ করাতে। স্বপ্নের মানুষটিকে চোখের সামনে দেখে আনন্দে আত্মহারা রুপম।
তার গড়া কারুকার্য টি উপহার হিসেবে দিতে চেয়েছিলেন সৌরভ কে। তবে সেটি ফ্রেমবন্দি না থাকায় দ্বিতীয়বার কলকাতায় গিয়ে ফের সেটিকে ফ্রেমবন্দি করে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন তার প্রিয় ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী কে। যেটি দেখে আনন্দে আত্মহারা সৌরভ গাঙ্গুলী নিজেও এবং রুপমের এই মনমুগ্ধকর কারুকার্য দেখে মহারাজ তাকে এবং তার প্রতিভাকে যথেষ্ট সম্মান জানিয়েছেন।