দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাস অনেকের। অনেককে আবার কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। ঘর ছেড়ে বাইরে থাকতে হলে আবাসিক হোটেলই ভরসা।
যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী হোটেল খুঁজে উঠে যান। আবাসিক হোটেলে থাকার ক্ষেত্রে একটা বিষয় সব সময় মনে রাখবেন, এটি আপনার বাড়ি নয়। বাড়ির সব সুযোগ-সুবিধাও সেখানে পাবেন না। আবার কিছু কাজ করার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, আবাসিক হোটেলে কোন কাজগুলো করবেন না-
হুট করে দরজা খুলবেন না
অনেকেই আছেন যারা দরজায় নক করার শব্দ শুনলেই ভেতরে আসতে বলেন। এমনটি করা যাবে না। কারণ দরজার ওপাশে কে দাঁড়িয়ে আছেন, আপনি জানেন না। তাই ভেতরে আসতে বলার আগে বা দরজা খোলার আগে অবশ্যই তার পরিচয় এবং কী কাজে এসেছেন তা জেনে নিন। সব সময় হোটেল কক্ষের দরজা লাগিয়ে রাখুন।
এরকম একটি ঘটনা আছে, এক ব্রিটিশ দম্পতি লস অ্যাঞ্জেলেসে বেড়াতে গিয়ে সেখানকার এক হোটেলে উঠলেন। এরপর সেই হোটেলের ট্যাপ বা কল থেকে পানি পান করলেন। সেই পানিতে কেমন যেন বিচিত্র স্বাদ, এমন স্বাদের পানি নাকি তারা কখনোই খাননি। পরে অনুসন্ধানে জানা গেল, হোটেলের জলাধারে একটি মৃতদেহ! তাই হোটেলের কলের পানি পান না করে আলাদা মিনারেল ওয়াটার কিনে খান। সতর্ক থাকতে তো অসুবিধা নেই, তাই না?
কক্ষে মূল্যবান জিনিস রাখবেন না
অনেকেই সঙ্গে করে মূল্যবান বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যান। এরপর হোটেল কক্ষের কোথাও রেখে দেন। কিন্তু এটি করা যাবে না। কারণ হোটেল কক্ষ থেকে চুরি হওয়া অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। তাই কোথাও যাওয়ার সময় যতটা সম্ভব দামী জিনিস না নিতে চেষ্টা করুন। নিলেও সেগুলো হোটেল কর্তৃপক্ষের লকারে রেখে দিন। সেটি বেশি নিরাপদ হবে।
রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার না করাই ভালো
হোটেল কক্ষে টিভি তো থাকবেই। সেইসঙ্গে থাকবে রিমোটও। কিন্তু যতটা সম্ভব রিমোট ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। কারণ আপনার আগেও অনেকে সেই রিমোট ব্যবহার করে গেছে। অন্য সব জিনিস পরিষ্কার করলেও রিমোট তো আর পরিষ্কার করা হয় না। যে কারণে সেখানে জমে থাকা জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে আপনার শরীরেও।
কক্ষ নম্বর বলবেন না
যেকোনো জায়গায় বসে বসে চেক-ইনের সময় আপনার হোটেল কক্ষের নম্বরটি জোরে বলবেন না। কারণ আপনার মুখ থেকে এসব তথ্য জেনে কেউ হয়তো চুরি বা অন্য কোনো ক্ষতির চেষ্টা করতে পারে। কার মনে কী আছে, কে বলতে পারে! তাই আপনার ঠিকানা, হোটেলের নাম কিংবা কক্ষ নম্বর যতটা সম্ভব গোপন রাখুন।