রাতদিন এক করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রোদ, জল বৃষ্টি সহ্য করে কৃষকরা মাঠে ফসল ফলান। কয়েক মাস পর সে ফসল পূর্ণতা পেলে তা বিক্রি করতে নিয়ে যান পাইকারি বাজারে।
সেখানে এতদিনের কষ্টার্জিত ফসলের বিনিময়ে এমন একটা অর্থ উপার্জন তাঁরা আশা করেন যাতে তাঁদের পারিবারিক প্রয়োজনটুকু মেটে, পরিবারের মুখে হাসি ফোটে। কিন্তু কৃষকদের দুরবস্থার এক চরম চিত্র এবার সামনে এল।
কর্ণাটকের গদাগ জেলায় পেঁয়াজের চাষ বিখ্যাত। সেখান থেকে এক কৃষক ২০৫ কেজি পেঁয়াজ মিনি ট্রাকে করে নিয়ে হাজির হন বেঙ্গালুরুর পাইকারি বাজারে। সেখানে যাবতীয় হিসাবের পর তাঁকে ৮ টাকা ৩৬ পয়সা তাঁর ২০৫ কেজি পিঁয়াজের জন্য দেওয়া হয়। তাও থাউকো হাতে তুলে দেওয়া নয়, রীতিমত পাকা বিল তৈরি করে তাঁকে দেওয়া হয়।
যেখানে দেখা গেছে তাঁর পেঁয়াজের দাম তিনি পেয়েছেন ৪১০ টাকা। তার থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে তাঁর পরিবহণ খরচ। পরিবহণের খরচ দেখানো হয়েছে ৪০১ টাকা ৬৪ পয়সা। বাকি পড়ে থাকে ৮ টাকা ৩৬ পয়সা। যা তিনি হাতে পেয়েছেন।
একইভাবে অন্য এক কৃষক ২১২ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে ওই পাইকারি বাজারে হাজির হয়েছিলেন একই জেলা থেকে। তিনি বিক্রি বাবদ হাতে পেয়েছেন সব কেটেকুটে ১০ টাকা। এ বিষয়ে কর্ণাটক সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা হয়েছে সোশ্যাল সাইটে। এমন পরিস্থিতিকে কৃষকদের প্রতি চরম অবিচার হিসাবেই দেখছেন অধিকাংশ মানুষ।