কোটি টাকার ‘পরী পালং’ খাট, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নজর কাড়ছে সবার। এটি বানাতে ৭ কারিগরের সময় লেগেছে ৩ বছর ২ মাস! মেলায় এটি দেখতেও লাগে ১০ টাকা। দর্শনার্থীর ভিড় প্রচুর, কিন্তু মিলছে না ক্রেতা। শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে না পারলে খাটটি জাদুঘরে দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন কারিগর।
কথায় আছে, শখের দাম লাখ টাকা। আর শখ পূরণে মানুষ কতোকিছুই না করে! পেশায় পল্লী চিকিৎসক হলেও খাগড়াছড়ির জালিয়াপাড়ার নূরুন্নবীর শখ একটু ভিন্ন ধরনের।
তিনি বানিয়েছেন ‘পরী পালং’ নামের ব্যতিক্রমধর্মী এক খাট। চার পাশে প্রজাপতি হাতে কল্পিত পরীর অবয়ব, আর চোখ ধাঁধানো কারুকাজ। এটি বানাতে ৭ জন কারিগরের সময় লেগেছে তিন বছর দুই মাস। খরচ হয়েছে অর্ধকোটি টাকারও বেশি।
ঢাকার পর চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এনেও, কোটি টাকা দাম হাঁকছেন খাট প্রস্ততকারক।
এ প্রসঙ্গে খাট প্রস্ততকারক নুরুন্নবীর ভাই খোরশেদ আলম বলেন, এক কোটি টাকা আমাদের আসকিং প্রাইস। তবে ক্রেতারা দামাদামি করতে পারবেন, সে সুযোগ আছে। যদি এখানেও খাটটি বিক্রি নাহয় তাহলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে ওনার মাধ্যমে খাটটি যাদুঘরে দান করবো।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় খাটটির সর্বোচ্চ দাম উঠেছিলো ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চট্টগ্রামের মেলায়ও এখনও মেলেনি ক্রেতা। ক্রেতা না থাকলেও, কোটি টাকার এ খাট দেখতে অভাব নেই দর্শনার্থীর।
প্রসঙ্গত, এ খাট পার্বত্যাঞ্চলের কারুশিল্পকে তুলে ধরার প্রয়াস বলে জানান কারিগররা।