যেটা একটি ছোট মেয়ে বালির মধ্যে থেকে উদ্ধার করেছে সেটা যে অমূল্য তা প্রথমে বোঝেননি কেউই। পরে যা জানা গেল তা গোটা বিশ্বকে তাজ্জব করে দিয়েছে। সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গেলে ছোটদের সবচেয়ে আনন্দের ২টি খেলা হল বালি দিয়ে বাড়ি বানানো আর বালির মধ্যে ঝিনুক খোঁজা। ৯ বছরের ছোট্ট মেয়েটাও বালির মধ্যে খুঁজে বেড়াচ্ছিল কোনও সামুদ্রিক কিছু যদি পাওয়া যায়।
এমন সময় তার চোখে পড়ে একটি বড়সড় দাঁতের মত জিনিস। যা বালির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে। সেটি সে বার করে। কিন্তু বস্তুটি কি? জিনিসটি দেখার পর অনেকেই জানান সেটি একটি দাঁত হতে পারে।
পরে সেটি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দেখাতে তাঁরা খতিয়ে দেখে যা জানান তা কার্যত গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। কারণ যে প্রাণির অস্তিত্বই নেই তার দাঁত এখনও বালির মধ্যে রয়েছে গিয়েছে।
প্রায় দেড় কোটি বছর আগে জলে এক ধরনের হাঙর ঘুরে বেড়াত। তাদের বিশেষত্ব ছিল তাদের অতিকায় চেহারা আর বড় বড় দাঁত। এদের বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন মেগালোডন।
মেগালোডন ছিল সে সময় জলের সবচেয়ে বড় প্রাণি। পরবর্তীকালে সেটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। যার জীবাশ্ম পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যা পরীক্ষা করেই ওই প্রাণি সম্বন্ধে খবর পাওয়া গিয়েছে।
এটা মনে করা হয় নীল তিমিই এদের বিলুপ্ত হওয়ার কারণ। লক্ষ লক্ষ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মেগালোডনের দাঁত এখনও রয়েছে! যা ৯ বছরের মলি স্যাম্পসন নামে এক বালিকা হাতে পেল। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে।