ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। নির্মাণ ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে দর্শক মাতিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের ৪৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাহরুখের ‘জওয়ান’। পাশাপাশি একই দিনে পরিচালক ঝন্টু নির্মিত সিনেমা ‘সুজন মাঝি’-ও মুক্তি পায় হলে।
তবে ‘সুজন মাঝি’র চেয়ে ‘জওয়ান’ দেখতেই হলগুলোতে বেশি ভিড় দেখা যায় সিনেমাপ্রেমীদের। মুক্তির পরেই যেন রীতিমতো ঝড় তুলেছে সিনেমাটি। তাই আমাদের দেশে ভিন্ন সংস্কৃতি আসা উচিত না বলে মনে করছেন নির্মাতা ঝন্টু। হতাশা প্রকাশকরে সম্প্রতি তিনি মন্তব্য করেন, এটা আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সঙ্গে এটাও জানান, যারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা দেশীয় সিনেমার শত্রু।
শুরু থেকেই দেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তির বিষয়ে প্রতিবাদ করে আসছেন নির্মাতা ঝন্টু। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ভিন্ন সংস্কৃতি আসা উচিত না। এগুলো আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে একেবারেই যায় না। হিন্দি চলচ্চিত্রগুলো আসায় সিনেমা হল মালিকের পেট ভরতে পারে। তা ছাড়া আর কোনো লাভ হবে না। হলগুলো বাঁচবে না, আমাদের চলচ্চিত্রও ধ্বংস হবে।
ঝন্টু আরও বলেন, এটা আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। যারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা দেশীয় সিনেমার শত্রু। আজ হয়তো অনেকেই বুঝতে পারছেন না কিন্তু একদিন বুঝবেন। যখন বুঝবেন তখন আর কিছু করার থাকবে না।
অনেকেই মনে করছেন, আজ আমার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে বলে আমি প্রতিবাদ করছি। তাদের বলছি, আমি শুরু থেকেই দেশে হিন্দি ভাষার সিনেমা মুক্তির বিপক্ষে কথা বলেছি, ভবিষ্যতেও বলব।
নির্মাতা বলেন, আমরা চাই না বিজাতীয় ভাষার ছবি মুক্তি পাক। ইংরেজি আমাদের পড়ানো হয়, এটা একটা আন্তর্জাতিক ভাষা। সুতরাং ইংরেজি ছবি এলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু জওয়ান কেন এই দেশে মুক্তি দিতে হবে? তাও আবার নিয়ম-নীতি না মেনে!
যেখানে একই তারিখে দেশের দুটি সিনেমা মুক্তির জন্য বুকিং দেওয়া হয়েছে, সেখানে কীভাবে অন্য দেশের, অন্য ভাষার সিনেমা মুক্তি দেওয়া হলো? যারা চুপ করে এখনও বসে আছেন তাদের জন্য মায়া হচ্ছে। তারা আগামী দিনে কাঁদবেন। তখন সে কান্নায় আর কোনো লাভ হবে না।